ভাড়া বাড়িতে নিজস্বতার ছোঁয়া আনতে চান? বাড়িওয়ালার শর্ত না ভেঙে ৩ কৌশলে সাজিয়ে ফেলুন ঘর

শহরে ছোট্ট ঘর ভাড়া নিয়েছেন। নতুন বাড়িতে পা রেখেই মনখারাপ। ঘরে আলো-বাতাসের চলাচল নেই খুব একটা। দেওয়ালগুলিও কেমন ছাল-ওঠা। খরচের কথা ভেবে মেনে নিতে হচ্ছে। আবার বাড়িওয়ালার কড়া হুকুমে খুব বেশি বদল করার অনুমতিও নেই। তবে আর চিন্তা নেই নিজের দক্ষতায় পাল্টে নিন ঘরের আবহ। শুধু রুচিবোধকে কাজে লাগালেই হবে। তিনটি কৌশল জেনে রাখলে সুবিধা হতে পারে।

আলোকসজ্জা: প্রকৃতির আলো যদি ঘরে না ঢোকে, তবে কৃত্রিম আলোর উপরেই ভরসা রাখতে পারেন। শহরের আলোর বাজার অথবা অনলাইনে ঘেঁটে খুঁজে বার করুন ল্যাম্পশেড, টেবিল ল্যাম্প। একই সঙ্গে কিনে নিতে পারেন ছোট ছোট ঝাড়লণ্ঠন বা টুনিবাল্বও। ঘরের কোনায় ল্যাম্পশেডটি রাখুন। এই ধরনের আলোর সুবিধা হল, বাড়ির নানা কোণে তা রাখা যায়। বারান্দা বা বসার ঘরে রাখুন ঝাড়লণ্ঠনটি। শোয়ার ঘরে বিছানার পিছনের দেওয়ালে আটকে দিতে পারেন টুনিবাল্ব।

দেওয়ালসজ্জা: ডবল টেপ দিয়ে দেওয়ালে সাজিয়ে রাখুন স্মরণীয় মুহূর্তগুলির ছবি। ট্রিপ পোলারয়েড থেকে শুরু করে ফোটো বুথ স্ট্রিপ কিনে সাঁটতে পারেন। তবে দেওয়াল নিয়ে বাড়িওয়ালার কড়া নিয়ম থাকলে এক নতুন জিনিস কিনতে পারেন। টুনিবাল্বের মুখে ক্লিপ লাগানো, সেই ক্লিপগুলিতে আটকে দেওয়া যায় ছবি। তাতে দেওয়ালে কিছু সাঁটতে হয় না। এই সজ্জায় দেওয়াল হয়ে উঠতে পারে নিজস্ব, অর্থবহ। ছবি পছন্দ না হলে ওয়ালপেপারের স্ট্রিপও ব্যবহার করতে পারেন।

অভিনব আসবাবপত্র: প্রায়শই ভাড়াটেদের অভিযোগ করতে শোনা যায়, ঘরে জায়গা কম। তাই বড় বড় আসবাব রেখে জায়গা নষ্ট করবেন না। খুঁজে খুঁজে এমন আসবাব ঘরে আনুন, যা ভাঁজ করা যায়, অথবা একইসঙ্গে একাধিক কাজের জন্যও উপযুক্ত। এতে জায়গা খরচ কম হয়। যেমন ধরা যাক, সোফা-কাম-বেড, দেওয়ালে লাগানো টেবিল, অথবা ভাঁজ করা যায় এমন তাক। ব্যবহারের প্রয়োজনে আসবাবের আকার বড় করা যাবে, জায়গার প্রয়োজনে ছোট করে ভাঁজ করে রাখা যাবে।