ছেলের অন্নপ্রাশনে মরণোত্তর দেহদান করলেন শিক্ষক দম্পতি

1 min read

একমাত্র ছেলে লিমোর অন্নপ্রাশনে  মরণোত্তর দেহদান করলেন শিক্ষক দম্পতি। মঙ্গলবার মালদা শহরের দক্ষিণ কৃষ্ণপল্লী এলাকার নিজের বাড়িতেই ধুমধাম করে পালিত হয় বংশের একমাত্র ছেলে ঋদ্ধিমান চৌধুরী ওরফে লিমোর শুভ অন্নপ্রাশন। আর সেখানেই ভারত স্কাউটস এন্ড গাইডস্-এর সহযোগিতা নিয়ে মরণোত্তর দেহদান করেছেন ওই দম্পতি নবকুমার চৌধুরী এবং রিয়া চৌধুরী।

মালদা মেডিকেল কলেজের দেহদান অঙ্গীকারের আবেদন পত্রে নিজেদের স্বেচ্ছায় মরণোত্তর দেহদানের স্বাক্ষর করেছেন ওই নব দম্পতি।এদিকে এই ঘটনায় ওই দম্পতির এরকম অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আত্মীয়-পরিজন থেকে পাড়া-প্রতিবেশীরা।মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছেলে লিমোর অন্নপ্রাশন উপলক্ষে সবরকম আয়োজন করেছেন বাবা নবকুমার চৌধুরী এবং মা রিয়া চৌধুরী সহ পরিবারের অন্যান্যরা। আর বাড়ির বাইরেই বিশাল ব্যানারে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই দম্পতির মরণোত্তর দেহদানের প্রচারের কথা। সঙ্গে ছেলে লিমোর ছবি সহ মুখে ভাতের অনুষ্ঠান প্রচার।

সহযোগিতায় ভারত স্কাউটস এন্ড গাইডস-এর কথাও তুলে ধরা হয়েছে ওই ব্যানারে। যদিও এদিনের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে ওই দম্পতির মরণোত্তর দেহ দানের কথা কেউ জানতেনই না। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সদস্যরা এসে দম্পতির মরণোত্তর দেহ দানের বিষয়টি জানতে পারেন। তাতেই রীতিমতো হতবাক হয়ে যান আমন্ত্রিত মানুষেরা। সাধুবাদ জানিয়েছেন চৌধুরী পরিবারের ওই দম্পতিকে।পেশায় স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নবকুমার চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক গঠনমূলক কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত রয়েছি।রক্তদান শিবির করে বহুবার স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়েছি। তবে এটা আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল পুত্র সন্তানের অন্নপ্রাশনের দিন আমি এবং আমার স্ত্রী সদিচ্ছায় মরণোত্তর দেহদান করবো।এই অঙ্গীকারের কথা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানিয়েছিলাম।আর সেই মরণোত্তর দেহদানের আবেদন পত্র পূরণের মাধ্যমে সম্পন্ন করলাম।এতে আমাদের খুবই ভালো লাগছে।

You May Also Like