প্রকাশিত হলো কোভিশিল্ডের কার্যকারিতা

0 min read

করোনা সংক্রমণকে রোধ করার প্রধান উপায় টিকাকরণ। দেশ জুড়ে চলছে টিকাকরণের প্রক্রিয়া। চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া টিকাকরণ কর্মসূচির কেটে গিয়েছে প্রায় ১১ মাস। ইতিমধ্যেই ভারতে দেখেছে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ। সেই ঢেউয়ের মাঝে টিকাকরণ কতটা সার্থক তার একটা সামগ্রিক চিত্র ধরা পড়ল। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া নির্মিত করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড দ্বিতীয় ঢেউয়ে কতটা কার্যকরী হয়েছে তার তথ্যই সামনে এসেছে। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান ম্যাগাজিন ল্যানসেট এই তথ্য দিয়েছে।

জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ টিকা প্রাপ্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কোভিশিল্ড ৬৩ শতাংশ কার্যকরী। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, মাঝারি অথবা একটু বেশি সংক্রমিত রোগের ক্ষেত্রে এই টিকা ৮১ শতাংশ কার্যকর। এই প্রেক্ষিতে জানানো হয়েছে, এই টিকা নেওয়া থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কমে গিয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। তথ্য বলছে, ২ হাজার ৩৭৯ জন আক্রান্তের মধ্যে ১ হাজার ৯৮১ জনের অবস্থা প্রথম থেকেই স্থিতিশীল ছিল। তাদের মধ্যে ৩.৬ শতাংশ সম্পূর্ণ টিকা প্রাপ্ত ছিল। এখন এমনিতেই করোনাভাইরাস ওমিক্রন প্রজাতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতকেও। তাই টিকাকরণে আরো বেশি করে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে ভারতে এই নতুন প্রজাতির খোঁজ এখনো পর্যন্ত মেলেনি। কিন্তু তুলনামূলকভাবে কঠোর বিধিনিষেধ এবং সর্তকতা পালন করতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেই প্রেক্ষিতেই দেশজুড়ে করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ আগামী বেশ কয়েকদিনের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। বিগত কয়েকদিনের প্রেক্ষিতে দেখা গিয়েছে যে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাই কোন রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু করার পর বিমান যাত্রীদের ওপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এরই মধ্যে।

You May Also Like