মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরালেন বাপের বাড়ির লোকেরা, কারণ কি?

1 min read

মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করেছে, সেই খবর শুনে তাঁর বাবা-মা সেখানে ছুটে যান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। অভিযোগ, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁদের মেয়েকে যৌতুকের জন্য অত্যাচার করতেন। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁদের মেয়ে এই পদক্ষেপ নেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বাড়ির মধ্যে বচসা চরমে ওঠে। বচসার মধ্যেই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আগুনে পুড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অংশিকা কেশরবানী নামে যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় এবং তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় দুই বাড়ির মধ্যে ভীষণ ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময়ই অংশিকার বাপের বাড়ির লোকেরা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুন নেভানোর পর দেখা যায়, ঝলসে আংশিকার শ্বশুর এবং শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে। প্রয়াগরাজ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীপক ভুকার জানান, তাঁরা সোমবার রাত ১১টায় একটা ফোন পান। সেই ফোনেই জানানো হয়, এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন। খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে ছুটে যায় পুলিশ।

এর পর তিনি জানান, পুলিশের সামনেই মৃতার দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। সেই ঝামেলার মধ্যেই হটাৎ কয়েক জন ওই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তার পর বাড়ির মধ্যে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। জীবিত অবস্থায় পাঁচ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েক জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

You May Also Like