ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী

1 min read

বিগত কদিনের বৃষ্টিতে বেসামাল পরিস্থিতি রাজ্যের বেশ কিছু জায়গার। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতি হয়েছে হুগলির খানাকুল এবং হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতায়। রাজ্যের এইসব বিভিন্ন বিপর্যস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যার জলে নেমেই দুর্গতদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে হেলিকপ্টারে করে নয় সড়ক পথেই পৌঁছে যান বন্যা দুর্গত এলাকায়। পাশাপাশি সরকারি আধিকারিককে দুর্গতদের পাশে থাকারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি থেকে দুর্গতদের উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। হুগলির আরামবাগ সাবডিভিশনে বায়ুসেনা নামানো হয়েছে ইতিমধ্যেই।

জলাধার এবং নদীগুলির নাব্যতা কমে জল ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্যেই রাজ্যে বারবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। অতিবৃষ্টির জেরে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে কোন জেলার কি অবস্থা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, প্রাণহানির সংখ্যা সহ সামগ্রিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে টুইট করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে সব রকমের সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, প্রবল বৃষ্টি এবং ডিভিসি-র তরফ থেকে জল ছাড়ার কারণে প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। জানা গিয়েছে, আড়াই লাখ মানুষ এই মুহূর্তে ঘরছাড়া। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রীদের বলেন, ‘নিজের জেলায় বানভাসিদের পাশে থেকে কাজ করুন। ত্রাণ যেন সময় মতো পৌঁছে দেওয়া হয় সেটা দেখুন। সমস্যা হলে ত্রাণমন্ত্রী জাভেদ খান ও জলসম্পদ অনুসন্ধান মন্ত্রী মানস ভুঁইঞার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’ 

You May Also Like