আজ গায়ত্রী দেবীর মৃত্যু বার্ষিকী

0 min read

 কোচবিহার রাজকুমারী গায়ত্রী দেবী রূপে জন্মগ্রহণ করেন। মহামহিম মহারাজা দ্বিতীয় সওয়াই মান সিংহকে বিবাহ করে তিনি জয়পুরের তৃতীয় মহারানি হন এবং ১৯৩৯ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। ১৯৭১ সালে সংবিধান সংশোধন করে তার রাজকীয় উপাধি ও রাজন্য ভাতা বিলুপ্ত করা হয়।স্বাধীনতার পর দেশীয় রাজ্যগুলির বিলোপের সময় গায়ত্রী দেবী রাজনীতিবিদ হিসেবে চরম সাফল্য অর্জন করেন। ধ্রুপদী সৌন্দর্যের জন্য খ্যাত গায়ত্রী দেবী পরিণত জীবনে ছিলেন একজন ফ্যাশান আইকনের মতো।গায়ত্রী দেবীর পিতা কোচবিহারের রাজকুমার জিতেন্দ্র নারায়ণ ছিলেন যুবরাজের কণিষ্ঠ ভ্রাতা। তার মা বরোদার রাজকুমারী ইন্দিরা রাজে ছিলেন মহারাজা তৃতীয় সয়াজিরাও গায়েকওয়াড়ের একমাত্র কন্যা তথা পরমাসুন্দরী রাজকুমারী ও কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব। তার প্রথম জীবনে জ্যাঠামশায়ের মৃত্যুতে তার পিতা সিংহাসনে বসেন। গায়ত্রী দেবী প্রথমে কিছুকাল শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করেন।শান্তিনিকেতনে গায়ত্রী দেবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশেষ স্নেহধন্যা হয়ে ওঠেন।

লন্ডনে গ্যাসট্রিক সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি সেখানকার কিং এডওয়ার্ডস হসপিটালে ভর্তি হন। কিন্তু লন্ডনে একাকীত্ব বোধ করার কারণে তিনি জয়পুরে প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বিমান অ্যাম্বুলেন্সে তাকে জয়পুরে নিয়ে এসে সংকোটবা দুর্লভজি মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার প্যারালিটিক ইলিয়াস ধরা পড়ে। ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই ৯০ বছর বয়সে মহারানি গায়ত্রী দেবী পরলোকগমন করেন।[উইকিপিডিয়া]

You May Also Like