রং দিয়ে ফাঙ্গাসের নামকরণে বিভ্রান্তি বাড়ছে বলে জানালেন এইমস প্রধান চিকিৎসক

0 min read

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এবং হোয়াইট ফাঙ্গাসের পর সম্প্রতিই ইয়েলো ফাঙ্গাস নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে দেশে। গাজিয়াবাদে ৪৫ বছরের এক রোগীর শরীরে এই ছত্রাকের সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলেও দাবি করেছেন এক ইএনটি বা চোখ, নাক, কানের রোগের বিশেষজ্ঞ বিপি ত্যাগি। এইমস প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে কিন্তু সেই ছত্রাক সংক্রমণের বিভিন্নরকমের নাম দেওয়ায় জটিলতা বাড়ছে।

রং দিয়ে ফাঙ্গাসের নামকরণে বিভ্রান্তি বাড়ছে বলে জানালেন এইমস রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর মতে, একই ছত্রাক শরীরের বিভিন্ন অংশে সংক্রমিত হয়ে রং কীভাবে বদলাচ্ছে, তার ভিত্তিতে তার নাম দেওয়া ঠিক নয়, এতে সাধারণ মানুষ ধন্দে পড়ছেন। সোমবার কেন্দ্রের করোনা সংক্রান্ত বিবৃতি দিতে হাজির ছিলেন রণদীপ। তিনি বলেন, ‘‘একই ছত্রাক শরীরের বিভিন্ন অংশে সংক্রমিত হয়ে যে রং নিচ্ছে, তার ভিত্তিতে তার নাম দিলে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।’’

রণদীপ আরও বিশদে ব্যখ্যা করে বলেন, মূলত মিউকোরমাইকোসিস, ক্যান্ডিডা এবং অ্যাসপারগিলোসিস জাতীয় ছত্রাক সংক্রমণ দেখতে পেয়েছি আমরা। এর মধ্যে করোনার সঙ্গে ডায়াবেটিস রয়েছে যাঁদের, তাঁদের মধ্যে মিউকোরমাইকোসিসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের মুখে বা খাদ্যনালীতে ক্যান্ডিডা এক ধরনের সাদা ছোপ তৈরি করেছে। আর অ্যাসপারগিলোসি ফুসফুসে সংক্রমিত হয়ে তার ক্ষতি করে।’’

উল্লেখ্য এই ক্যানডিডাকেই হোয়াইট ফাঙ্গাস বলে উল্লেখ করা হয়েছিল সম্প্রতি। কিন্তু রঙের ভিত্তিতে ছত্রাক সংক্রমণের নামকরণ ঠিক নয় বলে সোমবার জানিয়েছেন এইমস প্রধান।

You May Also Like