রায়গঞ্জে স্ত্রীকে ফাঁস লাগিয়ে খুন: গ্রেফতার স্বামী

0 min read

গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠলো স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরে। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধুর নাম সীমা দাস (২৫)। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ী ও ভাসুরকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় মৃতার শ্বশুরবাড়ি লোকেদের বিরুদ্ধে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরের বাসিন্দা রাজু দাসের সাথে সীমা দাসের চার বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মাস তিনেক যাবৎ গৃহবধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতো তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। এযাবৎকালে সীমাদেবীকে তার বাবার কাছ থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। টাকা আনতে না পারায় তার ওপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার করা হতো বলে এমনটাই অভিযোগ। গতকাল রাতে সীমাদেবীর বাপের বাড়িতে খরব দেওয়া হয় সীমা অসুস্থ হয়ে পরেছে। একথা শুনে সীমার পরিবারের লোকেরা এসে দেখেন সীমার ঝুলন্ত মৃতদেহ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পাশাপাশি ছুটে আসে পাড়া প্রতিবেশিরা। সীমাদেবীর মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনায় মৃতার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ী ও ভাসুরকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতার ভাসুর রাজ্য পুলিশের সহকারী সাব ইন্সপেক্টরের পদে রায়গঞ্জ ট্র্যাফিক পুলিশে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সীমা দাসের দাদা দীব্যেন্দু দাস জানিয়েছেন, সীমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমার বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমার বোনের ওপর তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতো। পাশাপাশি দীবেন্দুবাবু আরও বলেন যারা আমার বোনকে খুন করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

You May Also Like