গত ত্রিশ বছরে নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা মৃত ৬৮

1 min read

রবিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে কাঠমান্ডু থেকে পোখারাগামী একটি বিমান অবতরণের ১০ সেকেন্ড আগে আচমকাই সেতী গণ্ডকী নদীর তীরে একটি জঙ্গলের মধ্যে আছড়ে পড়ে। ওই ঘটনায় প্লেনের সব যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপাল সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি জানায়, রোববারের বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ৬৮জন নিহত হয়েছেন৷ নিহতের সংখ্যার দিক থেকে এটি গত ত্রিশ বছরের মধ্যে নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা৷

দুর্ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর সোমবার সকালে এটি উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও পরে নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয় জানায়, আকাশ পরিষ্কারই ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ে।

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর দাবি, সপ্তাহ দুয়েক আগে উদ্বোধন হওয়া চিন-নির্মিত ওই রানওয়ে পূর্ব-পশ্চিম বরাবর। প্রাথমিকভাবে পাইলটকে পূর্ব দিকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে পাইলট নিজে পশ্চিম দিকে নামার অনুমতি চান। সেই অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। 

কয়েকটি নেপালি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, নামার সময় বিমানটি বড় বাঁক নিয়েছিল। হতে পারে, সেই সময়েই পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারান! এই দাবি সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, যদিও নিরপেক্ষভাবে সেই ভিডিওর সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা যায়নি। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, মাঝ আকাশে অনেকটা বেঁকে গিয়েছিল বিমানটি। বিপজ্জনকভাবে অনেক নীচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল সেটি। তারপরই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয় সেই সময় জানিয়েছিল, ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হলে দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে। ককপিটের ভয়েস রেকর্ড হয় সেখানে।

You May Also Like