সিকিমে আটকে কত পর্যটক? উঠছে ‘এয়ারলিফ্‌ট’ করে উদ্ধারের দাবি

0 min read

মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বিপুল জলরাশি তিস্তা নদী দিয়ে বয়ে চলেছে। নদীর তাণ্ডবে আশপাশের এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সকাল দেখল এক অন্য সিকিমকে। তিস্তায় হড়পা বানের জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গন জেলা। ভেসে গিয়েছে বহু সেতু। জলমগ্ন বাড়িঘর। কিছু জায়গায় জলের তোড়ে সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে বড় বড় বিল্ডিং। কাদাস্রোতের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে বহু বসতি, রাস্তাঘাট, সেনাছাউনি। স্বভাবতই তিস্তার ধ্বংসলীলায় কত প্রাণহানি হয়েছে, সেই প্রশ্ন উঠছে। পরিস্থিতি জরিপ করে আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গনের সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চালু করা হয়েছে একাধিক জরুরি পরিষেবার নম্বর। জলপাইগুড়ির সমস্ত স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।

তবে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেকায়দায় সিকিম ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা।সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, তিস্তার তাণ্ডবে অবরুদ্ধ। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত সিকিমে কত পর্যটক আটকে রয়েছেন তার সঠিক কোনও খবর নেই। কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে অনুরোধ, এয়ারলিফ্‌টিং ছাড়া এত মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। সিকিমের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। মঙ্গলবার রাত থেকে সিকিমের স্থানীয় পর্যটন সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। চিন্তা বাড়ছে। বিকল্প পথগুলিও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’

রাজ্য ইকো টুরিজ়ম দফতরের চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, ‘‘পর্যটকদের সঠিক সংখ্যা হিসাব করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বহু পর্যটকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আশা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে কত পর্যটক সিকিমে আটকে রয়েছেন, তা হিসাব করে ফেলতে পারব। আমাদের আবেদন, এখনই কেউ রাস্তায় নামার চেষ্টা করবেন না। যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন।’’

You May Also Like