আগামী সপ্তাহে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত

0 min read

অবশেষে আগামী সপ্তাহে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দড়ি টানাটানিতে চাকরি গিয়েছে ৫৭৩ জন গ্রুপ ডি কর্মীর। কিন্তু গ্রুপ সি পদে চাকরিরত দের ভবিষ্যৎ কি? এখানেও দুর্নীতির বড়সড় অভিযোগ উঠেছে। মামলার শুনানি হবে আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।

গ্রুপ সি পদে নিয়োগপ্রাপ্ত জৈনিক অরিন্দম মিত্র বলেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আদালতে তাদের হলফনামায় জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের রেকমেন্ডেশনের ভিত্তিতে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আদালতে জানিয়েছেন তাঁরা কোনও রেকমেন্ডেশন দেয়নি। তাহলে রেকমেন্ডেশন কে দিল?

প্রসঙ্গত,২০১৬ সালে গ্রুপ সি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নিয়োগ দেওয়ার পরেও দেখা যায় বেশকিছু শূন্যপদ রয়ে গিয়েছে৷ যাঁরা যাঁরা ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন তাঁদের ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর রেকমেন্ডেশন লেটার ইস্যু করে এসএসসি। তার ভিত্তিতে ২০২০ সালে রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে ৩৫৭জনকে নিয়োগ পত্র পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যেই একজন আবেদনকারী অরিন্দম মিত্র। যাঁকে পূর্ব মেদিনীপুরের শ্রীরামপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুলে চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছিল। অরিন্দমবাবু নিয়োগ পত্র পেয়ে স্কুলে যোগাযোগ করলে তাঁকে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, এখন স্কুল বন্ধ রয়েছে৷ স্কুল খোলার পরে যোগাযোগ করবেন।

এর পর বারবার স্কুল, জেলা স্কুল পরিদর্শক, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পর্ষদের কাছে লিখিত আবেদন জানান তিনি৷ কিন্তু  কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেই অভিযোগ। অরিন্দমবাবুর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান গ্রুপ সি পদে যে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে তাতে আবেদনকারী অরিন্দম মিত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রেকমেন্ডেশন লেটার স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকেই পেয়েছেন অরিন্দমবাবু। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হলফনামায় জানিয়েছেন যে এসএসসি রেকমেন্ডেশনের ভিত্তিতে তাঁরা নিয়োগপত্র দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে চাকুরি প্রার্থীদের অপরাধ কোথায়? প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷

এখনও পর্যন্ত কেউ এই নিয়োগ অবৈধ বলে লিখিত বিবৃতি দেয়নি৷ এর থেকে প্রমাণ হয় তাঁর নিয়োগ বৈধ৷ এই বিষয়টি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারিতে আদালতের সামনে তুলে ধরা হবে। অন্যদিকে মামলাকারীর সাবিনা ইয়াসমিনের দাবি, নিয়োগের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পর অরিন্দম মিত্রকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি নিয়মিত বেতনও পাচ্ছেন৷ তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান অরিন্দমবাবুর আইনজীবী।

You May Also Like