এবার  সিবিআই-এর নজরে শোভন চট্টোপাধ্যায়

1 min read

অনুব্রত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার  সিবিআই-এর নজরে শোভন চট্টোপাধ্যায়। ২০১৮ সালের ত্রিপুরা ভবন হেরিটেজ মামলাও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। ২০১৮ সালে যখন কলকাতার মেয়র ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় সেই সময় হেরিটেজ ত্রিপুরা ভবনের একাংশে বেআইনি নির্মাণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানিতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন।

আদালত জানিয়েছে, ২০ জুনের মধ্যে এই তদন্ত সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআই আধিকারিকদের। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভাকে ২২ কোটি টাকা জমা রাখার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। কীভাবে হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটি হেরিটেজ ওই জমির মধ্যে বেআইনি নির্মাণের অনুমতি দিল তাই তদন্ত করবেন সিবিআই আধিকারিকরা। এছাড়া এর মধ্যে কোনও আর্থিক দুর্নীতি রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কলকাতার মহানাগরিক তথা মেয়র পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই সময়ই ত্রিপুরা ভবনের মোট ১৪৬.৫ কাঠা জমির কিছুটায় বেআইনি নির্মাণ হয়েছে বলে জানা যায়। ত্রিপুরা হাউজের মোট জমির পরিমাণ ১৪৬.৫ কাঠা। তার ৫৩ কাঠা জমি জুড়ে আগেই আটতলা একটি বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। বাকি জায়গা ফাঁকাই পড়েছিল। কিন্তু পরে ওই ফাঁকা জায়গাতে ফের নির্মাণের অনুমতি চাওয়া হয় হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটির কাছ থাকে। সেই সময় মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা ছিল, ত্রিপুরা হাউস ভেঙে কোনও নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। পড়ে থাকা জমিতে বাড়ি তৈরি করার জন্য মালিক একটা আবেদন করেছেন তা বিবেচনার জন্য হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটির কাছে পাঠানো হচ্ছে।’

ত্রিপুরা ভবনের হেরিটেজ জমিতে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি চেয়েছিলেন ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যুৎকিশোর দেববর্মন। কিন্তু পরে ওই জমিতে নির্মাণের অনুমতি দেয় সংরক্ষণ কমিটি। হঠাৎ করে কেন এই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সেই কারণই অনুসন্ধান করবে সিবিআই। তবে জানা যাচ্ছে, আপাতত এই মামলায় তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম নেই। কিন্তু বিষয়টি সিবিআই আধিকারিকদের হাতে গেলে তদন্তের মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকেও। ফলে আগামী দিনে তাঁকেও সিবিআই দপ্তরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

You May Also Like