বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব গ্রামের বাসিন্দারা

0 min read

জেলা জুরে যখন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল চালাচ্ছে তদন্ত, তখনই বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব গ্রামের বাসিন্দারা।রাস্তা নির্মাণের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাস্তার বেহাল দশা।গ্রামে যানবাহন প্রবেশ করাই এখন দুস্কর।প্রায় কুড়ি মিটার রাস্তা ধসে বিশাল গড়তে পরিণত হয়েছে। বারবার অভিযোগ করেও মেলেনি কোন সুরাহা। ব্যাপক হরে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঙালচক গ্রামের বাসিন্দাদের। মালদার মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধনে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রায় ২৫ লক্ষ ৩৭ হাজার অর্থ ব্যয়ে মানিকচকের চৌকি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাঙালচক গ্রামে সাড়ে ৭০০ মিটার কংক্রিট ঢালাই রাস্তার কাজ হয় প্রায় বছর খানেক আগে।গ্রামবাসীদের অভিযোগ কাজ শেষ হওয়ার মাস কয়েক পরই মাটি ধষে যায়।বর্তমানে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিটার রাস্তা নেই।রাস্তা না থাকায় গ্রামে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না।বারংবার মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতি ও প্রশাসনিক আধিকারিক দপ্তরে অভিযোগ জানিয়ে মেলেনি কোন সুরাহা বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

বাঙালচক গ্রামের মানুষদের রাস্তার সমস্যার কথা মাথায় রেখে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত প্রকল্পের অন্তর্গত রাস্তা নির্মান করা হয়।স্থানীয়দের মতে, যোগাযোগের মাধ্যম বলতে এই একটি রাস্তা। স্কুল পড়ুয়া থেকে রোগী এই রাস্তার উপর দিয়েই যেতে হয়। বছরের অন্যান্য সময় ভাঙা রাস্তার পাশ দিয়ে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষার সময় কঠিন অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়।রাস্তা ভাঙ্গা থাকার দরুন গ্রামে ঢোকে না কোন অ্যাম্বুলেন্স। গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে বা প্রসূতি মায়েদের তুলে এই রাস্তা পার করে যাওয়া হয় হাসপাতালে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন রাস্তার তৈরি সময় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।দুর্নীতি না হলে নির্মাণের চার মাসে কোনো রাস্তার এমন দুরবস্থা হত না।ছয় ইঞ্চি ঢালাই এর বদলে কোথাও ২ ইঞ্চি বা তিন ইঞ্চি ঢালাই দেওয়া হয়েছে রাস্তায়। ঠিকঠাক মাটি না ভরার জন্য এর ওপর দশা ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নাই। বারবার প্রধান মেম্বারদের জানিয়েও কেউ কর্ণপাত করছে না। ফলে বিগত সাত মাস এই ভাবেই পড়ে রয়েছে রাস্তাটি। হাজার হাজার মানুষের অসুবিধার কথা কেউই ঘুরে দেখছেন না ।রাস্তার সমস্যা সুরাহা হোক এই দাবি এলাকাবাসীর।

আরে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার কে তীব্র কটাক্ষের সুর ছড়িয়েছে বিজেপি।সাংগঠনিক জেলা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌর চন্দ্র মন্ডল জানান, রাজ্যের সর্বত্রই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুট হয়েছে। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বাঙালচক গ্রামে এমজিএনআরজিএস প্রকল্পের এই রাস্তার অবস্থা। কাজের সমস্ত টাকা ব্লক প্রশাসন থেকে পঞ্চায়েত সমিতি লুট করেছে।ঠিকাদার সংস্থাকে সমস্ত জায়গায় কাটমানি দিতে হয়।তাই রাস্তার এমন অবস্থা। মানিকচকের সর্বত্রই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা কাজ না করে লুটপাট করা হয়েছে।যদিও গোটা বিষয় নিয়ে বার্তা রাখতে গিয়ে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মন্ডল জানান, এই রাস্তার অভিযোগ এখনো পাননি। যদিও যে ঠিকাদার সংস্থা কাজ করেছে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। যদি কোন রকম দুর্নীতির সামনে আসে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনিক স্তরে কথা বলে খারাপ অবস্থায় যদি থাকে তাহলে দ্রুত যাতে ঠিক করা যায় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

You May Also Like