অকারনে গাড়ি নিয়ে বাইরে বেরোনোয় মালদায় আটক পঞ্চাশের বেশি গাড়ি

1 min read

অকারণে লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় বেরিয়ে পুলিশের হাতে আটক হলো অটো, টোটো এবং বিভিন্ন ধরনের চার চাকার যানবাহন। রবিবার থেকে ১৫ দিনের জন্য শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে লকডাউন । তারই মধ্যে মালদার ৩৪নং নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করতেই শুরু হয় পুলিশের নজরদারি।  বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পুলিশকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করে বহু যানবাহন চালকেরা বলে অভিযোগ। কথায় কথায় চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন বার করে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা চালায় বহু যানবাহন চলাকেরা। কিন্তু পুলিশি জেরার মুখে অনেক যানবাহন চালকদের অসংলগ্ন কথাবার্তা তেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। মিথ্যা কথা বলে লকডাউনের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ভাবে চারচাকা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেড়ানো চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ আটক করে। এদিন প্রায় ৩০ টি অটো, টোটো এবং ২৫ টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটক করে পুলিশ। 

সোমবার সকাল থেকে মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্র রথবাড়ি এলাকার ৩৪নং নম্বর জাতীয় সড়কে লাগাতার অভিযান চালাতে শুরু করে জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে এই অভিযানে উদ্যোগ নেয় জেলা ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা। সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি চালানোর পাশাপাশি রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের উপরও নজর চালাতে শুরু করেন অভিযানকারী পুলিশ অফিসারেরা। কিন্তু বিভিন্ন ভাবে ম্যাজিক ভ্যান থেকে শুরু করে ট্রেকার ও অন্যান্য চার চাকার যানবাহনগুলিকে অবাঞ্ছিত ভাবে চলাচল করতে দেখে পুলিশ জাতীয় সড়কে ব্যারিকেড করে শুরু করে জিজ্ঞাসাবাদ। আর তারপরে একটার পর একটা চালকদের মুখ থেকে অবাঞ্ছিত কথা বার্তা বেরিয়ে আসতে শুরু করে। কেউ নিজেদেরকে বাঁচাবার জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পর্যন্ত দেখাতে ছাড়েন নি। কিন্তু এইসব প্রেসক্রিপশনের তারিখ বহু পুরনো, যা দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। সেইসব গাড়িচালকদের রীতিমতো ধমক দিয়ে আটক করে রাখে অভিযানকারী পুলিশ কর্তারা। এভাবেই সোমবার সারাদিন পুলিশি নজরদারি তে চলেছে মালদায় যানবাহন চলাচল। 

মালদা জেলা ট্রাফিক পুলিশের ওসি বিটুল পাল জানিয়েছেন, করোণা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য সরকার লকডাউনের নির্দেশ ঘোষণা করেছে। প্রয়োজন ছাড়া যানবাহন নিয়ে রাস্তায় যাতে কেউ না বার হয় তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। কিন্তু এরপরও এক শ্রেণীর লোকেরা ভাড়া মারার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে । কথায় কথায় চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন দেখাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত বিষয়টি জানতে গেলে তখনই একাংশ চালকেরা এই প্রেসক্রিপশন সম্পর্কে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। এরকম ভাবে পুলিশকে বিভ্রান্ত করা মোটেই ঠিক নয়। এদিন প্রায় ২৫টি টোটো এবং অন্যান্য প্রায় ৩০ টি যানবাহন আটক করে রাখা হয়েছে।  প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বেড়োনো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, সেকথাও মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

You May Also Like