শীতলকুচিতে মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নামলো সিআইডি টিম

0 min read

চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলেন ঘটনার তদন্তকারী সিআইডি আধিকারিকরা। সোমবার সকালে ডিআইজি সিআইডি স্পেশাল কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ওই পুনর্নির্মাণের কাজ করা হয়। ঘটনার সময় উপস্থিত বেশ কয়েকজনকে সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আবার নূর মোহাম্মদ হোসেন, মুর্তজা মিয়াঁ, সফিউদ্দীন মিয়াঁ, লাবু হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাথাভাঙ্গা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিককে দিয়ে মৃতদেহ পড়ে থাকার অবস্থান চিহ্নিত করতে রীতিমত ফিতে টেনে মাপযোগ করতেও দেখা যায় সিআইডি কর্তাদের।

প্রায় দু ঘণ্টা ধরে চলা ওই পুনর্নির্মাণের কাজ সহ অন্যান্য তদন্ত চলে শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথ অর্থাৎ জোড়পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আমতলী এমএসকে সেন্টারে। ওই সময় গোটা এমএসকে সেন্টার পুলিশ দিয়ে কার্যত ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। সেখানে সিআইডি আধিকারিকরা ছাড়াও মাথাভাঙ্গা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল, মাথাভাঙ্গা থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার দিন অর্থাৎ ১০ এপ্রিল ঠিক কি ঘটেছিল তাঁর তদন্ত করতে এদিন চার সদস্যের একটি টিম তারা এখানে এসছেন, তদন্ত ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত কিছু বলা সম্ভব হবে না।” অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রয়োজন হলে তাদেরকে আবার ডেকে নেওয়া হবে।”

১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনে কোচবিহারের ৯টি বিধানসভা কেন্দ্র সহ রাজ্যের ৪৪ টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়। এদিন শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথাভাঙ্গায় এসে নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা করে ওই ঘটনার সিআইডি তদন্ত করার আশ্বাস দিয়ে যান। এরপর ক্ষমতায় ফিরেই সিআইডিকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় তৎকালীন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দেবাশিষ ধর সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে ভবানী ভবনে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ডাকা হলেও তাঁরা হাজিরা দিতে আসেননি বলে জানা গিয়েছে।

You May Also Like