পুজোয় বাড়ি ফেরেনি ছেলে-মেয়ে, চেনা গল্প দেখাবে ‘বিজয়ার পরে’

1 min read

১২ই জানুয়ারি, শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে স্থান পেয়েছে কলকাতা ও ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সহ বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে বহুল প্রশংসিত পূর্ণদৈর্ঘ্যের ‘বিজয়ার পরে’ বাংলা চলচ্চিত্রটি। সিনেমাটির প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছে শিলিগুড়ির ঘরের দুই ছেলে সুজিত রাহা(Sujit Raha) অভিজিৎ শ্রীদাস(Abhijit SriDas)

এ যেন ঘরে ফেরার টান। তবে ‘বিজয়ার পরে’ নয় আগে। বাঙালির উৎসব মানেই ঘরে ফেরা। দুর্গাপুজোয় ঘরের ছেলে-মেয়ে ঘরে না ফিরলে বাবা মায়ের কাছে কেমন খালি হয়ে যায় সবটা, আর সেই গল্পই ফুটে উঠল অভিজিতের কাজে। বিজ্ঞাপণে কাজ করে হাত পাকানো উত্তরবঙ্গের ছেলে অভিজিৎ শ্রীদাস(Abhijit SriDas) প্রথমবার সিনেমা পরিচালনা করেই দেখিয়ে দিলেন তিনি ক্রিজে টিকে থাকতেই এসেছেন বটে।

তবে কেবল পরিচালকই নয়, সিনেমার প্রযোজক সুজিত কুমার রাহাও(Sujit Raha) উত্তরবঙ্গের ছেলে। তাঁদের হাত ধরে এবার ‘বিজয়ার পরে’ পৌঁছেছে ২৯ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পাশাপাশি ২২ তম ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবেও। এছাড়াও জাগরণ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মতো একাধিক স্থানে নির্বাচিত হয়েছে এই সিনেমা। গত ৭ ডিসেম্বর অভিজিৎ শ্রীদাসের(Abhijit SriDas) এই কাজের আনকাট ভারশন দেখানো হয়েছে কলকাতায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাংলার প্যানোরমা বিভাগে। এই ছবির টিসার ইতিমধ্যেই আলোড়ন ফেলেছে সিনে দুনিয়ায়। এক ঝাঁক বিখ্যাত মুখ ও পারদর্শী অভিনেতা অভিনেত্রীর সমারোহ এখন আলোচনার কেন্দ্রে।

আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন সুজিত রাহা ও তাঁর এস আর জুপিটার মোশন পিকচার। শুধু পরিচালক নয় প্রযোজনার হাতও যে উত্তরের মাটির বিষয়টি এবার উত্তরবঙ্গে সিনে চর্চার প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলেছে। ফের উঠে এসেছে ফিল্ম স্টাডিজের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটি পড়াশোনার বিভাগ এখনও উত্তরে নেই কেন! ফিল্ম ইনস্টিটিউট তো দূরের কথা। পরিকাঠামো নেই। না আছে উদ্যোগ। তাও উত্তরবঙ্গ থেকে উঠে আসছে প্রতিভাময় পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা। যে কোনও কিছু শেখার জন্য ছুটে যেতে হচ্ছে বারবার দক্ষিণবঙ্গে।

তাও এত বাধা পেরিয়ে সফলভাবে ছবি বানাচ্ছেন অনেকেই। উত্তরের অভিজিৎ, সুজিত রাহার মতো মানুষ উদ্যোগ নিয়ে সিনেমা, আর্টফিল্ম বানাতে সময় দিচ্ছেন। ‘বিজয়ার পরে’ সিনেমাটি তেমনই একটি বিশেষ উদ্যোগ। যা ইতিমধ্যে যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে গল্পের বুনন, অভিনয়, গান সবকিছুর জন্য। তবে দুর্গাপুজোর সময় নিয়ে একাধিক সিনেমা হলেও এই সিনেমা ক্লাইম্যাক্সেই সকলের থেকে আলাদা। দর্শকরা ক্লাইম্যাক্স অবধি অপেক্ষা করতে বাধ্য হবেন বলেই আশা পরিচালকের।

সিনেমায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বড় বড় শিল্পীদের এক ফ্রেমে আনা। মমতা শঙ্কর, দীপঙ্কর দে, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, খেয়া চট্টোপাধ্যায়, মীর আফসর আলি, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, মিশকা হালিম, পদ্মনাভ দাসগুপ্ত, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, তানিকা বসু ও বিমল গিরির মতো প্রতিভাকে এক মঞ্চে আনা মুখের কথা নয়। আর সেটাই করে দেখিয়েছেন অভিজিত ও সুজিত। তাঁদের যথাযথ ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন অভিজিৎ। অভিজিৎ জানান, প্রতিদিনের জীবনে যা ঘটে চলেছে সেই গল্প নিয়েই এই ছবি। সবকিছুকে একসাথে নিয়ে কীভাবে চলা যায় সেই বার্তা দেবে তাঁর ‘বিজয়ার পরে’।
অন্যান্য ভূমিকায় যারা ছিলেন তাঁরাও অনবদ্য কাজ করেছেন। ছবির সংগীত পরিচালক রণজয় ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে রিলিজ হওয়া যত্নে রেখো গানটি বেশ বিখ্যাত হয়েছে। এছাড়াও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেক আপ ও পোশাকেও দারুণ কাজ করেছেন অভিষেক রায় ও সন্দীপ জয়সোয়াল।
মোটামোটি সব দিক সামলে একটি সুন্দর ঘরোয়া কিন্তু সামাজিক ও রাজনৈতিক বার্তা বহনকারী একটি সিনেমা উপহার দিতে চলেছে উত্তরবঙ্গের ছেলে অভিজিৎ।

উভয়েই শিলিগুড়ির বাসিন্দা হওয়ায় সাধারণ নাগরিকদের অনুরোধে ১৩ই জানুয়ারী, ২০২৪ শনিবার উক্ত ছবির একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চ প্রেক্ষাগৃহে বিকেল ৪.৩০টায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ছবির মুখ্য চরিত্রাভিনেত্রী শ্রীমতি মমতা শঙ্কর। সিনেমাপ্রেমীদের হলে এসে এই চলচ্চিত্রটি উপভোগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সুজিত রাহা(Sujit Raha)অভিজিৎ শ্রীদাস (Abhijit SriDas)

You May Also Like