অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পাকিস্তানেও আতঙ্ক বাড়ছে একের পর এক

1 min read

এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরেনি শ্রীলঙ্কা। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলছে শ্রীলঙ্কাবাসী। একেবারে তলানিতে ঠেকেছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। শ্রীলঙ্কার পর এবার চিন্তা বাড়ছে পাকিস্তানকে নিয়ে। একই পরিস্থিতিতে কি পড়বে পাকিস্তানও। কার্যত ধুঁকছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই বেহাল যে পাকিস্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। মাঝে চা জাতীয় অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ানো নিয়ে তরজা চলছিল।

অনেকেই মনে করছিল যে অবস্থা হয়তো শ্রীলঙ্কা বা তার থেকেই খারাপ হতে পারে। এখন ক্রমশ শঙ্কা আরও বাড়ছে। জানা গিয়েছে, জুলাই থেকে দৈনিক লোডশেডিং-এর পরিমাণ আরও বাড়াতে চলেছে সরকার। একই সঙ্গে বন্ধ হচ্ছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে দেশের পরিস্থিতির উন্নতির কারণেই বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও তার প্রেক্ষিতেই একাধিক টেলিকম সংস্থা দাবি করেছে যে, বিদ্যুৎ পরিষেবায় এই বিঘ্ন ঘটল তারাও মসৃণ পরিষেবা চালু রাখতে পারবে না।

দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাও হবে। তাই এখন এটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে যে পাকিস্তান সত্যিই আরও অন্ধকারের দিকেই যাচ্ছে। আলো থাকবে না, থাকবে না নেট পরিষেবাও। সেখানকার আম নাগরিকদের কী অবস্থা হতে চলেছে তা ভেবেই শিহরিত হচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।

এর আগেই বিদ্যুৎ বাঁচাতে পাকিস্তানের সরকারি অফিসগুলোতে রাতারাতি আরও একদিন ছুটি বাড়িয়েছে পাক সরকার। যাতে সরকারি অফিসগুলোতে বিদ্যুতের অপচয় কিছুটা কমে তাই শুধু রবিবার নয় তার আগের দিন অর্থাৎ শনিবারও ছুটি পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। অর্থাৎ ছয়দিনের জায়গায় এবার থেকে পাকিস্তানে সরকারি কর্মচারীদের মাত্র ৫ দিন কাজ করতে হবে।

আরও জানান হয়েছে, সোম থেকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত খোলা থাকবে সরকারি অফিস। শুক্রবার একই সময় অফিস খুললে এবং বন্ধ হলেও জুম্মাবারে নামাজ পাঠের সময় বাড়ানো হবে। এদিন নামাজের জন্য বেলা সাড়ে বারোটা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি অফিস।

You May Also Like