কলকাতায় ক্রমশই কমছে চন্দননগরের আলো

1 min read

কলকাতার পুজোয় চন্দননগরের সাবেক আলো ক্রমশ কমছে। কারণ, দাম মিলছে না বলে দাবি আলোকশিল্পীদের। তাই আবেগ থাকলেও কলকাতামুখো হতে চাইছে না তাঁদের অনেকেই। আলোনিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন ভিন্‌ রাজ্যে। এক সময়ে কলেজ স্কোয়ার, মানিকতলা চৌমাথা-সহ কলকাতার বহু বড় পুজো আলোয় সাজিয়েছেন চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা। এ বার ডাক এলেও সাড়া দেননি। তাদের বক্তব্য, কলকাতা বরাবরই আলোর নতুন নতুন কাজ দেখতে চায়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেখানে অনেক পুজো প্রায় পনেরো দিন ধরে হচ্ছে। কাজেই আলোকশিল্পীদের খরচ বাড়ছে। অথচ বারোয়ারিগুলি সেই অতিরিক্ত টাকা দিতে নারাজ। তাই ইচ্ছা থাকলেও কলকাতায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। চন্দননগরের নাম ভাঁড়িয়ে অন্য কিছু ব্যবসায়ী বর্তমানে কলকাতায় কাজ করছেন বলেও তাঁর অভিযোগ।

চন্দননগরে মোট আলোকশিল্পীর সংখ্যা দু’শোরও বেশি। তার মধ্যে চন্দননগর ‘লাইট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর আওতায় রয়েছেন ৩৪ জন। শিল্পীদের অনেকেই জানাচ্ছেন, কলকাতায় ষষ্ঠী থেকে দশমী যে আলোর মূল্য ছিল ৭ লক্ষ, এখন প্রায় পনেরো দিনে তার জন্য ৪-৫ লক্ষ টাকার বেশি মিলছে না।

চন্দননগর লাইট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অসীমকুমার দে’র অভিযোগ, ব্যবসায়িক কারণে এখানকার বড় শিল্পীদের টেক্কা দিতে ছোট শিল্পীরা ঠিকাদার মারফত আলো ভাড়া দেওয়া শুরু করেছিলেন। অসীম মনে করেন, বর্তমানে প্রতিযোগিতার বাজারে চন্দননগরের আলোকশিল্পকে টিকে থাকতে গেলে সব দিক থেকে আরও আধুনিক হতে হবে। নতুন ভাবনারও দরকার। গুজরাত, হায়দরাবাদ, রাজস্থান প্রভৃতি জায়গা থেকে এ রাজ্যে আসা অনেকে এখন আলোর ব্যবসায় টাকা ঢালছেন। আধুনিক হতে না পারলে চন্দননগরের আলোর ব্যবসা ভিন্‌ রাজ্যের ওই সব ব্যবসায়ীদের কুক্ষিগত হয়ে যাবে বলে তাঁর আশঙ্কা।

You May Also Like