ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের একটি ইউনিট, মণিপাল হসপিটালস রাঙ্গাপানি, সফলভাবে সম্পন্ন করল এক বিরল অস্ত্রোপচার। ৬৬ বছর বয়সী এক মহিলা রোগী অনিতা রায় (নাম পরিবর্তিত) এর পেট থেকে ১৮ কেজি ওজনের বিশাল ওভারিয়ান টিউমার অপসারণ করা হয়। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে তিনি ভুগছিলেন পেটে অস্বাভাবিক ফোলা, ব্যথা, ক্ষুধামন্দা এবং মূত্রসংক্রান্ত জটিলতায়। অস্ত্রোপচারটি ৪ঠা আগস্ট ২০২৫ তারিখে সম্পন্ন করেন ডাঃ অনির্বাণ নাগ , কনসালট্যান্ট – সার্জিক্যাল অনকোলজি, মণিপাল হসপিটালস রাঙ্গাপানিও ডাঃ অনিল আইকপম, কনসালট্যান্ট – সার্জিক্যাল অনকোলজি, মণিপাল হসপিটালস রাঙ্গাপানি। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা ও সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে জানতে পারেন, টিউমারটি অন্ত্র ও মূত্রথলির উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে। রোগিণীর অবস্থা এতটাই জটিল ছিল যে, তিনি ঠিকভাবে দাঁড়াতেও বা হাঁটতেও পারছিলেন না।
বিশেষজ্ঞ দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অস্ত্রোপচারই ছিল একমাত্র উপায়। সার্জারির মাধ্যমে টিউমারটির সঙ্গে জরায়ু ও অপর ওভারি-ফ্যালোপিয়ান টিউবও অপসারণ করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে কোনো জটিলতা বা ক্যানসারের আশঙ্কা না থাকে। অস্ত্রোপচারের পর রোগিণী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং মাত্র চার দিনের মধ্যেই হসপিটাল থেকে ছাড়া পান। বর্তমানে তিনি স্বাভাবিকভাবে খেতে, হাঁটতে এবং দৈনন্দিন কাজ করতে সক্ষম। ডাঃ অনির্বাণ নাগ বলেন: “এত বড় টিউমার এবং পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির উপর এর চাপের কারণে কেসটি অত্যন্ত জটিল ছিল। দ্রুত অস্ত্রোপচার করাই রোগিণীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে। বিশেষত মেনোপজ-পরবর্তী নারীদের ক্ষেত্রে পেটে অস্বাভাবিক ফোলা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা করা অত্যন্ত জরুরি।”
রোগিণী অনিতা রায় (নাম পরিবর্তিত) অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন:“পেটের ক্রমাগত ফোলায় আমি প্রায় সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। খেতে ও হাঁটতে পারছিলাম না। মণিপাল হসপিটালস-এর ডাক্তাররা আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। এখন আমি আবার স্বাভাবিকভাবে খেতে, হাঁটতে এবং বাঁচতে পারছি। এই দলের প্রতি আমি অন্তহীন কৃতজ্ঞ।” রোগিণী নিয়মিত ফলো-আপে থাকবেন যাতে দীর্ঘমেয়াদে তাঁর সুস্থতা বজায় থাকে।
