বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে গিয়ে বড়সড় বিপদের মুখে পড়লেন ৯ জন মৎস্যজীবী। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় হঠাৎই একটি ট্রলারের তলায় ফাটল দেখা দেয়, যার ফলে ট্রলারের ভিতরে দ্রুত জল ঢুকতে শুরু করে। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠলে বিপদ সংকেত পাঠানো হয় উপকূলীয় প্রশাসনের কাছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ থেকে একটি ট্রলার বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে যায়। মাঝসমুদ্রে পৌঁছনোর পর ট্রলারের তলায় ফাটল দেখা দেয়। জল ঢুকতে শুরু করলে ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে মৎস্যজীবীরা রেডিও মারফত বিপদ সংকেত পাঠান।
বিপদ সংকেত পাওয়ার পরই তৎপর হয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন। দ্রুত উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ৯ জন মৎস্যজীবীকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাঁদেরকে প্রথমে ফ্রেজারগঞ্জে নিয়ে আসা হয়, পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের একজন বলেন, “ট্রলারের নিচে হঠাৎ ফাটল দেখা দেয়। আমরা ভয় পেয়ে যাই। জল ঢুকতে শুরু করলে বুঝে যাই, সময় খুব কম। বিপদ সংকেত পাঠিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পারলাম।”
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, “বিপদ সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা উপকূল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সৌভাগ্যবশত, সকলকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।”
এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট ট্রলারটির প্রযুক্তিগত ত্রুটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে মৎস্য দপ্তর। পাশাপাশি, গভীর সমুদ্রে যাওয়া ট্রলারগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
