অ্যানথ্রাক্স রোগ প্রধানত পশু এবং বন্য খেলাদের মধ্যে দেখা যায়, কিন্তু মানুষও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে. এটি ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট, যা স্পোর তৈরি করে. মানুষ সাধারণত সংক্রামিত প্রাণীর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে, অথবা দূষিত পশুজাত পণ্যের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে এই রোগটি লাভ করে। অ্যানথ্রাক্স মূলত গৃহপালিত পশু, ভেড়া, ছাগল, উট, অ্যান্টিলোপ এবং অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণীদের মধ্যে দেখা যায়। মানুষ সাধারণত সংক্রামিত প্রাণীর সাথে চামড়া বা পশমের মতো জিনিস ব্যবহার করে বা সংক্রমিত প্রাণীর মাংস খাওয়ার মাধ্যমে আক্রান্ত হয়ে থাকে।এই ব্যাকটেরিয়া এর আগেও হানা দিয়েছিল উত্তরের বনাঞ্চলে ,১৯৯৩, এরপর ২০২০ সালে এই অঞ্চলের আরেক জাতীয় উদ্যান জলদাপাড়ায় মৃত্যু ঘটেছিল ৫ টি গন্ডারের।
সম্প্রতি এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত মৃত ছাগলের মাংস খেয়ে অ্যানথ্রাক্সে মৃত্যু হয় একই পরিবারের তিন সদস্যের। তা থেকেই প্রকাশ্যে এসেছে, গবাদি পশুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স মাথাচাড়া দিয়েছে কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার প্রত্যন্ত গ্রামে। আনথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়ার খোজ মিলতেই জলপাইগুড়ি বন্য প্রাণী বিভাগের পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে গোরুমারা জাতীয় উদ্যান সহ চাপরামারী, সহ অন্যান্য বনাঞ্চল বসবাসরত মূলত তৃণভোজী বন্য প্রাণীদের ওপর, যার মধ্যে অন্যতম একশৃঙ্গি গন্ডার ,যার সংখ্যা এই মুহূর্তে গরু মারা জাতীয় উদ্যানে ৫৫। এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি বন্য প্রাণী বিভাগের এডিশনাল ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার রাজীব দেব জানান।
এটি মূলত গৃহপালিত তৃণভোজী পশুর মুখের থেকেই ছড়িয়ে পরে জঙ্গলের বন্য প্রাণীদের মধ্যে,তবে অনেক সময় এর উল্টোটাও হতে দেখা গিয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে জলপাইগুড়ি বন্য প্রাণী বিভাগের পক্ষ থেকে লাগাতার নিবিড় যোগাযোগ রাখা হয় পশু চিকিৎসক সহ সংশ্লিষ্ট টেকনিক্যাল দফতর গুলোর সঙ্গে। এছাড়াও নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়া হয় বণ দফতরের নিজস্ব কুনকি হাতি গুলোকে, সেই দিক থেকে এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি বন্য প্রাণী বিভাগের অধীনে থাকা সব কয়টি হাতি সুরক্ষিত আছে।