উত্তরবঙ্গ জুড়ে চলছে আসারি সেবা বা গ্রাম পুজো ,অনেকেই আবার মহারাজার পুজো বলে থাকেন। গ্রামের মঙ্গল কামনায় হিন্দু ধর্মের মধ্যে এই পূজার চল রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গ জুড়ে রাজবংশীদের গ্রামের বেশি প্রবণতা দেখা যায়। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি নেপাল, বাংলাদেশও এই পুজো হয়। তিস্তাবুড়ি থেকে সত্যপীর দেবতার থান রয়েছে এই গ্রাম ঠাকুরে। হিন্দু মুসলিম উভয় এই পুজোয় অংশগ্রহণ করে , মানত রাখা ধুপ ফলমূল, এমন কি পাঁঠা পায়রা ও মোরগ এনে দেন মুসলিম ধর্মের মানুষেরাও l
রাজবংশীদের মধ্যে আষাঢ় মাসে এই পুজো সেরে গুছিবুনা বা ভুমি পূজা করার পরেই তারা মাঠে ধান লাগার কাজে ব্যস্ত হয়। এই বিষয়ে রাজগঞ্জ থেকে পূজারী সুশান্ত মণ্ডল জানান এই আষাঢ় মাসে প্রচুর ডাক পায় বহু গ্রাম থেকে, ব্যস্ততায় চলে গ্রাম পূজোl সাত পুরুষের বংশ পরম্পরায় দীর্ঘ সাত বছর ধরে পুজো করে আসেন তিনি l জলপাইগুড়ি ,দার্জিলিং ও নেপালের বহু জায়গা পর্যন্ত দৌড় দিতে হয় পুজোর কাজে।
মঙ্গলবার রাজগঞ্জে চাউলহাটি, আমবাড়ি সহ তিন জায়গায় পূজো সারলেন l উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে গ্রাম ঠাকুর বা মহারাজা ঠাকুরের মাহাত্ম্য অনেক, সকলের মনে ভক্তি উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায় চোখে পড়ার মতো l আর এই পুজোয় দুর্দান্ত ছুটে আসেন বহু দর্শনার্থী ও l গ্রাম ঠাকুরের আশীর্বাদ নেওয়া ও তিস্তা বুড়ির নাচ দেখার জন্য।
