আইন-শৃঙ্খলা বিতর্কে পালটা ছবি দেখাল বালুরঘাট আদালত

রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ তুলে যখন বিরোধীরা সক্রিয়, ঠিক তখনই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আদালতের পরিসংখ্যান জানিয়ে দিল ভিন্ন ছবি। শনিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, গত পাঁচ বছরে বালুরঘাট আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন।

ঋতব্রতবাবু জানান, গত পাঁচ বছরে বালুরঘাট আদালতে ১৫টিরও বেশি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা হয়েছে।

এছাড়াও ১০ বছর ও ২০ বছরের কঠিন সাজাও বহু ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ছোট্ট জেলায় এই সংখ্যা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। আইনজীবীর দল ও তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের প্রতি কৃতজ্ঞ জানান।

তিনি উল্লেখ করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর মামলার কথা ফোন-কাণ্ডে রাজ্যজোড়া আলোড়ন তোলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা, অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের খুন মামলায় যাবজ্জীবন, কাস্টমস অফিসারের সোনা তস্করির মামলায় যাবজ্জীবন, বালুরঘাট আদালত কর্মীর টাকা তছরূপ মামলায় সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড, রোমহর্ষক রামপ্রসাদ মার্ডার কেসে যাবজ্জীবন, গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সহ আর একটি গণধর্ষণ মামলায় ২০ বছরেরও বেশি সাজা।

সরকারি আইনজীবী জানান, অপরাধ দমনে পুলিশের তদন্ত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রশংসা করেন জেলা পুলিশের তৎপরতা ও দক্ষ তদন্তকারীদের। তাঁর কথায় আইনজীবীদের কাজ কোর্টে। কিন্তু তার আগে তদন্তকারীরা নিখুঁত কাজ করে থাকেন। জেলায় পটু তদন্তকারী অফিসাররা রয়েছেন, যারা অসাধারণ কাজ করেন।

সাজা ঘোষণার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি জানান অপরাধ কমাতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও আইনমন্ত্রী যে সহায়তা দিয়েছেন, সেই কারণেই আমরা সফলভাবে এই কাজ করতে পেরেছি।”

বিরোধীদের অভিযোগের মাঝেই এই সাফল্য রাজ্যের আইনব্যবস্থা কতটা শক্তিশালী ও সক্রিয় তা স্পষ্ট করে তুলল বলেই মনে করছে প্রশাসন।