ভূতনীতে রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, উত্তপ্ত শঙ্করটোলা এলাকা

মালদা জেলার ভূতনীর শঙ্করটোলা এলাকায় রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণের নিম্নমান ও জল জমার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় চড়াও হয় ঠিকাদার সংস্থার লোকজন ও শ্রমিকরা। ঘটনায় দু’জন গ্রামবাসীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি দোকানে ভাঙচুর ও বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনাও ঘটেছে।

গ্রামবাসীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে বর্তমানে রাস্তার নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধিরা।

জানা গিয়েছে, প্রায় ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২.৬৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল। যদিও এই রাস্তা তৈরির নির্দেশ বহু আগেই এসেছিল, তবে স্থানীয়দের একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। পরে মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র হস্তক্ষেপ করলে পুনরায় কাজ শুরু হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম আলী জানান, “রাস্তা তৈরি করার ধরণ দেখে বলেছিলাম, এতে জল জমে যাবে, আর অল্প দিনেই রাস্তা ভেঙে পড়বে। জল যাতে না জমে, সেই অনুযায়ী কাজ করা হোক। কিন্তু তার জেরেই মারধর কর হয় বললে অভিযোগ।

ঘটনায় রাজনৈতিক তরজাও চরমে। দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “২.৬৭ কিলোমিটার রাস্তায় ২.৬৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু কাজের মান অত্যন্ত খারাপ। তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে গিয়ে ঠিকাদারের কালঘাম ছুটছে বলে অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি অভিযোগ সঠিকভাবে বালি-পাথর দেওয়া হচ্ছে না।”

অন্যদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার উন্নয়নের কাজ নিয়ে কোনও আপোষ করে না। যে সংস্থা কাজ পেয়েছে, তাদের কাজের মান বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। গ্রামবাসীদের অভিযোগ যদি সঠিক হয়, তাহলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাই পুরো বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।”

বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নজরদারি রাখা হয়েছে।