১৫ দিনের কুরুখ ভাষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন শ্রেনী কল্যাণ মন্ত্রী বুল চিক বড়াইক

১৬ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনগ্রসর শ্রেনী কল্যাণ মন্ত্রী বুল চিক বড়াইক কুরুখ লিটারেসি সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক আয়োজিত মালবাজারে ১৫ দিনের কুরুখ ভাষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৩০ জুলাই পর্যন্ত চলমান এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের লক্ষ্য হল ডুয়ার্স অঞ্চলের উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে কুরুখ ভাষা প্রচার করা। যদিও অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই, তরুণ এবং বয়স্ক উভয়ই, সাবলীলভাবে কুরুখ বলতে পারেন, তারা কখনও তাদের নিজস্ব ভাষায় পড়তে এবং লিখতে শেখার সুযোগ পাননি। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সেই ব্যবধান পূরণ করতে এবং মাতৃভাষা সাক্ষরতার মাধ্যমে সম্প্রদায়কে ক্ষমতায়িত করতে সহায়তা করবে।

পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে কুরুখকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা রাজ্য সরকার প্রথম ঘোষণা করে, ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০১৭ তারিখে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে। এরপর ৮ই ফেব্রুয়ারী ২০১৮ তারিখে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ভাষা (সংশোধন) বিল পাস হয়, যার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কুরুখকে রাজ্যের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই দূরদর্শী পদক্ষেপটি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নেওয়া হয়েছে, যিনি সর্বদা উপজাতি সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত অধিকারকে সমর্থন করে আসছেন।

দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে, মাননীয় মন্ত্রী শ্রী বুলু চিক বারাইক আমাদের রাজ্যের উপজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও উন্নয়নের জন্য একজন অক্লান্ত প্রবক্তা। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং আশীর্বাদে, তিনি শিক্ষা, অবকাঠামো, দক্ষতা উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক সংরক্ষণের ক্ষেত্রে উভয় বিভাগের মাধ্যমে অসংখ্য উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর প্রচেষ্টা ডুয়ার্স, তরাই এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য উপজাতি অঞ্চলে অর্থপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এই কুরুখ সাক্ষরতা প্রশিক্ষণ সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের জন্য তাঁর নিরন্তর কাজের আরেকটি মাইলফলক। এটি কেবল কুরুখ জনগণের সমৃদ্ধ ভাষাগত ঐতিহ্য সংরক্ষণে সহায়তা করে না বরং তাদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার মাধ্যমে উপজাতি সম্প্রদায়ের পরিচয় এবং গর্বকেও শক্তিশালী করে।