জলপাইগুড়ি, ৯ অক্টোবর — জলঢাকা নদীর বাঁধ ভেঙে ধূপগুড়ির গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করলেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জী। রেল লাইনের মাঝে তাবুতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি, শোনেন তাঁদের অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ।
পরিদর্শনের সময় মীনাক্ষী বাঁধের মূল ভাঙনস্থল এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিও ঘুরে দেখেন। দুর্গতরা তাঁর কাছে দাবি জানান, দ্রুত বাঁধ সংস্কার ও ঘরবাড়ি নির্মাণের ব্যবস্থা করা হোক। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত পুনর্বাসনের কোনও সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই।
মীনাক্ষী বলেন, “আমি, আপনি সবাই দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু সরকার যেন চোখ বন্ধ করে আছে। রাজ্য সরকারকে মানবিক হতে হবে। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো এখন জরুরি।”
তবে তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্যোগের পরপরই রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিলি, আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা সহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উত্তরবঙ্গে এসে পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন।
তৃণমূলের দাবি, “যাঁরা দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে ছিলেন না, তাঁদের এখনকার মন্তব্যের কোনও গুরুত্ব নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা চলছে।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা আরও তীব্র হয়েছে। একদিকে দুর্গতদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবি, অন্যদিকে রাজনৈতিক পাল্টা বক্তব্য—সব মিলিয়ে জলঢাকা অঞ্চলে উত্তেজনা অব্যাহত।