শিশু দিবসকে কেন্দ্র করে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর) আয়োজনে শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটং পর্যন্ত অটিস্টিক ও দৃষ্টিহীন শিশুদের নিয়ে পরিচালিত হল বিশেষ টয় ট্রেন যাত্রা। পাহাড়ি রেলপথে ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে গেল ছোট ছোট মুখের আনন্দ, বিস্ময় আর রঙিন হাসি।
শিলিগুড়ি জংশন এদিন পরিণত হয়েছিল উৎসবের ঠিকানায়। রঙিন বেলুন, খুশিতে ভরা শিশু, সংগীত ও অভিভাবকদের উচ্ছ্বাসে প্ল্যাটফর্ম মুখরিত হয়ে ওঠে। ট্রেনটি ছাড়তেই প্রতিটি বাঁক, সুরঙ্গের আলো-ছায়া আর অরণ্যের সবুজ সৌন্দর্য শিশুদের এনে দেয় এক অনন্য অভিজ্ঞতা। কেউ জানালার বাইরে তাকিয়ে শীতল বাতাস ছোঁয়ার চেষ্টা করছে, কেউ আবার ট্রেনের শব্দে মেতে উঠেছে নাচে—পুরো কামরাই যেন আনন্দের স্রোতে ভাসছিল।
এই বিশেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম (ACT)-এর কনভেনার রাজ বসু, ডিএইচআর ডিরেক্টর ঋষভ চৌধুরী সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট অতিথি।
ঋষভ চৌধুরী বলেন, ডিএইচআর শুধু একটি ঐতিহ্য নয়, এটি মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগের পথ। বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য এই আয়োজন গর্বের। তাদের হাসিই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
ইউনিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শক্তি পাল জানান, “এই শিশুদের অনেকেই জীবনে প্রথমবার টয় ট্রেনে উঠল। তাদের এই আনন্দই আমাদের সাফল্য।”
শুধু এই যাত্রাই নয়—শিশু দিবস উপলক্ষে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ডিএইচআর এনেছে আরও নানা কর্মসূচি। সেদিন শুকনা স্টেশনে অনুষ্ঠিত হবে স্টেশন মহোৎসব—স্থানীয় সংস্কৃতি, শিল্পকলা ও হস্তশিল্পের প্রদর্শনী নিয়ে। একই দিনে মহাত্মা গান্ধীর দার্জিলিং সফরের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজন করা হবে শতাব্দী মার্চের রংটং-শুকনা পর্ব। মার্চ শেষে রংটং-এর শিশুদের জন্য আরও একটি বিশেষ টয় ট্রেন যাত্রার ব্যবস্থা করা হবে।
