পানীয় জলের সমস্যা বনবস্তি এলাকায়

সোলার প্যানেলের মাধ্যমে জলের ওপর নির্ভরশীল এলাকাবাসী। যদিও সেই জলও ঠিকমতো আসে না। তাছাড়া একটানা মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি হলেই পানীয় জলের সমস্যায় পড়তে হয়। নলবাহিত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে পাইপ বসানো হলেও তা এখনো চালু হয়নি। পাশাপাশি কূয়ো থাকলেও সেই জল পান করা যায় না। তাই দ্রুত নলবাহিত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি চালু করার দাবি এলাকাবাসীর। ডুয়ার্সের বানারহাট মহকুমার অন্তর্গত তোতাপাড়া ফরেস্ট সংলগ্ন তোতাপাড়া ফরেস্ট বস্তি এলাকার ঘটনা। ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের তোতাপাড়া জঙ্গলের একদম কাছেই তোতাপাড়া ফরেস্ট বস্তি। বনবস্তিতে প্রায় ৫০ টি পরিবারের বসবাস। সেই সমস্ত পরিবারের সদস্যরা পানীয় জলের সমস্যায় পড়েছেন। কুয়োর জলই পান করতেন তারা।

কিন্তু গ্ৰীষ্মের সময় কুয়োর জল ‌যেমন নিচে নেমে যায় তেমনি জলের সঙ্গে চলে আসে নানা রকম পোকামাকড় থেকে নুড়ি কাকড়। এরপর সেই এলাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই সোলার প্যানেলের একটি অংশ খারাপ হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি একটানা মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টি হলে ঠিকমতো জল পাওয়া যায় না। তারপরও অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে বালতি হাঁড়ি নিয়ে সোলার প্যানেলের জল সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে যান। এদিকে এলাকায় জলের সমস্যা মেটাতে বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দিতে পাইপ বসানো হয়েছে। তবে ওই পর্যন্তই এখনো নলবাহিত জল এলাকায় পৌঁছয় নি। যার ফলে পানীয় জলের সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী চান দ্রুত যাতে নলবাহিত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী ইন্দ্র পাল শিং বলেন,” সোলার প্যানেলের মাধ্যমে জল সবসময় ওঠে না। বিশেষ করে যখন আকাশে মেঘ থাকে থাকে বা বৃষ্টি হয়। সে সময় বাধ্য হয়ে আমাদের কুয়োর জল পান করতে হয়। আর কুয়োর জলে নোংরা পোকামাকড় উঠে আসে। জলের সমস্যা মেটাতে পাইপ বসানো হলেও এখনো তা দিয়ে জল আসে না।তাই আমরা চাই দ্রুত পাইপের মাধ্যমে জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাক।” এ বিষয়ে বানারটের বিডিও নিরঞ্জন বর্মন বলেন,” পিএইচইর সঙ্গে প্রতিমাসে রিভিউ মিটিং হয় এর আগেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি দেখবো।”