প্রাথমিক সনাক্তকরণের প্রয়োজনীয়তা: কেন ২০২৫ সালেও দেরিতে ক্যান্সার নির্ণয় – এবং পরিবারের পক্ষে কীভাবে এই বিলম্ব এড়ানো সম্ভব

ডাঃ শিবাঙ্গী দাস ,বিএএমএস, এমডি, পিএফসিপি (এমইউএইচএস), ডিইএমএস, আয়ুর্বেদচার্য, ডি.এস. রিসার্চ সেন্টার, কলকাতা

প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা হলে ক্যান্সারের ফলাফল যথেষ্টই উন্নত হয়, তবুও ২০২৫ সালে, ডি.এস. রিসার্চ সেন্টার সহ ভারত জুড়ে হাসপাতালগুলিতে এখনও শেষ পর্যায়ের রোগীদের বেশ উচ্চ শতাংশ ভর্তি হতে দেখা যায়। বেশিরভাগ বিলম্ব কখনই সুবিধার অভাবের কারণে হয় না, বরং হয় প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে।

রোগীরা এখনও দেরিতে কেন পৌঁছায়

১. সূক্ষ্ম লক্ষণ উপেক্ষা করা

ক্লান্তি, অত্যন্ত ব্যথা, ওজন কমা, বদহজম, বা রক্তপাতকে প্রায়শই “স্বাভাবিক দুর্বলতা” বা “বয়স-সম্পর্কিত সমস্যা” হিসাবে উড়িয়ে দেওয়া হয়।

২. রোগ নির্ণয়ের ভয়

অনেক পরিবার ক্যান্সারের সম্ভাবনার ভয়ে স্ক্রিনিং এড়িয়ে চলে।

৩. সামাজিক দ্বিধা

বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, নদীয়ার মতো জেলাগুলিতে রোগীরা তাদের লক্ষণ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে দ্বিধা করেন।

৪. ঘরোয়া প্রতিকারের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা

অনেকেই চিকিৎসা মূল্যায়ন দেরীতে করেন, ধরে নেন যে বিশ্রাম বা মৌলিক ওষুধের মাধ্যমে লক্ষণগুলি সেরে যাবে।

যেসব সাধারণ লক্ষণ মানুষ উপেক্ষা করে

● পিণ্ড বা ফোলা

● অবিরাম কাশি

● সাংঘাতিক জ্বর

● গিলতে অসুবিধা

● অন্ত্র/মূত্রাশয়ের অভ্যাসের পরিবর্তন

● অস্বাভাবিক রক্তপাত

দেরিতে সনাক্তকরণ এড়াব কীভাবে

● ২-৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে লক্ষণগুলি উপেক্ষা করা যাবে না।

 ● ৪০ বছর বয়সের পরে বার্ষিক স্ক্রিনিং অপরিহার্য।

● সন্দেহ হলে দ্বিতীয় চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

● উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের জন্য (ধূমপান, অ্যালকোহল, বংশগত ইতিহাস থাকলে), স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক।

ডি.এস. রিসার্চ সেন্টারের ভূমিকা

ডি.এস. রিসার্চ সেন্টার ৬০ বছর ধরে ক্যান্সার রোগীদের গাইড করে আসছে, বিশেষায়িত ও সমন্বিত সহায়তার পাশাপাশি লক্ষণ-ভিত্তিক মূল্যায়ন এবং প্রাথমিক হস্তক্ষেপের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

প্রাথমিক সনাক্তকরণ ভাগ্য নয় – এটি সচেতনতা।

আরও জানতে এখানে দেখুন – https://dsresearchcentre.com/