বাংলাদেশে ভূমিক*ম্প, পশ্চিমবঙ্গেও তী*ব্র ঝাঁকুনি

শুক্রবার সকালে আচমকাই প্রবল কম্পনে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৭। কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলাদেশের নরসিংদী থেকে ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণ – দক্ষিণ – পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। জানা যায়, ঢাকাতেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। এর জেরে বাংলাদেশে মারা গেছেন ছয়জন, আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি।

বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কম্পন পৌঁছে যায় পশ্চিমবঙ্গেও। তীব্র ঝাঁকুনি অনুভূত হয় কলকাতা সহ শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, নদিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ উত্তর – দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।

প্রায় ৩০ সেকেন্ড ধরে বহুতল দুলতে থাকে। অফিস–কাছারি, সরকারি দফতর, ব্যাংক—সব জায়গা থেকেই কর্মীরা আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন। বহু জায়গায় লিফট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে।

পাশাপাশি ভূমিকম্পের জেরে কোচবিহারে ঘটে যায় অস্বস্তির ঘটনা। শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোলবাগান এলাকায় একটি বাড়ির ক্যাপসুল লিফটের কাচ ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পড়ে যায়। বাড়ির দম্পতি জানান, সকালে হঠাৎই এক বিকট শব্দ শুনে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে বাড়ির পরিচালিকা সিঁড়িতে কাচের টুকরো পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন। এরপরই তাঁরা দেখতে পান লিফটের কাচ ভেঙে গিয়েছে। তাঁদের ধারণা, ভূমিকম্পের তীব্র কম্পনেই লিফটের কাচ ভেঙে যায়। সৌভাগ্যবশত, ঘটনায় কোনও প্রাণহানি বা বড় ক্ষতি হয়নি।