পাহাড়ি গ্রাহকদের জন্য সহজে বহনযোগ্য প্রতিমাই এবার শিল্পীদের বিক্রির মূল ভরসা

শহরের মৃৎশিল্পী এখন পূর্ণ রঙে ফুটে উঠেছে দুর্গাপ্রতিমার বাজার দিয়ে। এক ফিট থেকে শুরু করে দেড় ফিট, দুই ফিট সহ মাঝারি আকারের বিভিন্ন প্রতিমা সাজানো হয়েছে ক্রেতাদের জন্য। প্রতিবারের মতো এবারও মৃৎশিল্পীরা তাদের সৃজনশীল কাজ নিয়ে প্রস্তুত।

শহরের শিল্পীরা জানিয়েছে, পাহাড়ি অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য বড় আকৃতির প্রতিমা নিয়ে যাওয়া খুবই জটিল। পাহাড়ি পথে মাটির প্রতিমা পৌঁছে দেওয়ার সময় তা ভেঙে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ছোট ও মাঝারি আকারের প্রতিমার চাহিদা বেশি। শিলিগুড়ি থেকে এই অঞ্চলের গ্রাহকরা সহজেই প্রতিমা কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

একজন মৃৎশিল্পী জানান, “বিশাল আকৃতির প্রতিমা তৈরি করা যায়, কিন্তু পাহাড়ি অঞ্চলে তা বিক্রি করা সহজ নয়। ছোট ও মাঝারি আকারের প্রতিমা বেশি ব্যবহারযোগ্য সাথে চাহিদাও বেশি।

বিশ্বকর্মা পুজোর সময় পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির কারণে বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গিয়েছিল। তবে এবারের দুর্গা পুজোতে ভালো বিক্রির আশা নিয়ে শিল্পীরা মনোযোগী। মৃৎশিল্পীরা বলছে, “এবার আশা ছোট ও মাঝারি প্রতিমার বিক্রি ভালো হবে ও ক্ষতি কম হবে।”

শহরের বিধান রোডের বাজারে প্রতিমা দেখার জন্য ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতারা বাজারে এসে বিভিন্ন আকারের ও ডিজাইনের প্রতিমা নির্বাচন করছে। এছাড়া, মৃৎশিল্পীরা বিভিন্ন আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করেছে যা শিশু থেকে বড়দের সবাইকে আকৃষ্ট করছে।

শিল্পীরা মনে করছে, শিলিগুড়ির ছোট-মাঝারি আকারের প্রতিমার বাজার পাহাড়ি গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিমা সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় ও বিক্রি ভালো হওয়ায় এবারের পুজোতে শিলিগুড়ি বাজার আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।