বলিউডের ফিটনেস প্রশিক্ষক ইয়াসমিন করাচিওয়ালা এবং অভিনেত্রী সোহা আলি খান দুটি ভিন্ন জগতের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও, সন্তানদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে দুজনের চিন্তাভাবনা প্রায় একই। সোহা আলি খান মনে করেন, নিজেকে সুস্থ রাখতে চলাফেরার অভ্যাস গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ হওয়া উচিত সহজ, মজাদার এবং দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। সোহা বলেন, “আমি খেয়াল রাখি যাতে ইনায়া এবং আমি প্রতিদিন কোনো না কোনো ধরনের শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অনুশীলন করি—সেটা অল্প যোগা হোক, বসার ঘরে নাচ, বা শোবার আগে একসাথে স্ট্রেচিং করা।”এগুলি কেবল শরীরকেই সুস্থ রাখেনা, বরং বন্ধনও তৈরি করে।
এদিকে, ইয়াসমিন করাচিওয়ালা বিশ্বাস করেন যে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে শরীরচর্চা স্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তিনি বলেন, “কঠিন শরীরচর্চা না করলেও চলবে, তবে শরীরকে সচল রাখা জরুরি।” যেমন- হাঁটা, স্ট্রেচিং বা সিঁড়ি বেয়ে ওঠার মতো সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাসও স্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নতি করতে পারে। সোহা দিন শুরু করে অ্যালমন্ড কলা স্মুদি দিয়ে, যা একটি পুষ্টিকর খাবার, অন্যদিকে তার মেয়ে ইনায়া মশলাদার অ্যালমন্ড কলা গুড়ের কেকের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করে। এছাড়াও, তাদের ডায়েটে থাকে চিকেন, ব্রাউন রাইস, চর্বিহীন প্রোটিন, গোটা শস্য এবং তাজা শাকসবজি ইত্যাদি।
একইভাবে, ইয়াসমিন এবং তার ছেলেরা ঐতিহ্যবাহী চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নেয়, যেমন চিয়া সীড, চিনাবাদাম মাখন এবং অ্যালমন্ডের দুধ দিয়ে তৈরি ভেগান ময়দাবিহীন ব্রাউনি। এই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলি তাদের অপরাধবোধ ছাড়াই মিষ্টি উপভোগ করতে দেয়, যা ভোগ এবং পুষ্টির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। সোহা তার মেয়ে ইনায়ার জন্য প্রতিদিন অ্যালমন্ড প্যাক করেন, যাতে তার শক্তি এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায়। ইয়াসমিন নিশ্চিত করেন যে তার ছেলে ভালো ঘুমের জন্য ঘুমের সঠিক রুটিন ফলো করে, যা যেকোনো বয়সে শক্তি এবং দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য বড় করে। তাদের মতে, “সুস্থতা কেবল একটি বিশেষ ঘটনা নয়; এটি জীবনযাপনের একটি পদ্ধতি।”তারা জানায় যে অ্যালমন্ড এবং বেরির মতো স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে সক্রিয় থাকা, অর্থবহ রুটিন মেনে চলা এবং পরিবারের সাথে ভালো সময় কাটানো, এই সবটাই বাড়ি এবং জীবন উভয় ক্ষেত্রেই ভারসাম্য তৈরি করে, যা নিজেকে সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি।
