ভারতের মাটিতে প্রথম গড়ে ওঠা ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম ফ্লিপকার্ট আয়োজিত দ্বিতীয় খাদ্য উৎসব ২০২৫ সফল ভাবে শেষ হয়েছে। এই উৎসব ছিল ভারতের বিকাশমান খাদ্য সংস্কৃতির এক বিপুল উদযাপন। বেঙ্গালুরুর ফ্লিপকার্ট ক্যাম্পাসে ৮ ও ৯ জুলাই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ৫ থেকে ১০ জুলাই ছিল অনলাইনে বাছাই করা সুখাদ্য বিক্রির বিশেষ ব্যবস্থা। অনলাইনে ক্রেতাদের জন্য ছিল সেরা ব্র্যান্ডের উচ্চ মানের সুস্বাদু খাবারের সংগ্রহ, নতুন নতুন খাদ্যের আইটেম এবং সেরা ব্র্যাডের খাবারের অল্প সময়ের অফার। উৎসব উপলক্ষ্যে জড়ো হয়েছিলেন বিখ্যাত শেফরা, খাদ্যের সেরা আইটেম তৈরি করেন এমন সৃজনশীল লোকেরা, স্বীকৃত ব্র্যান্ডগুলি এবং সারা দেশের খাদ্যোৎসাহীরা। ভারতে উচ্চ মানের সূস্বাদু খাবার আরো বেশি বেশি করে আবিষ্কার করা এবং সেগুলি বিক্রির ভবিষ্যৎকে সুনির্দিষ্ট রূপ দেওয়ার প্রতি ফ্লিপকার্টের যে অঙ্গীকার, এই উৎসবের মাধ্যমে সেটাই আরেকবার সামনে নিয়ে এল ফ্লিপকার্ট। ফ্লিপকার্ট খাদ্য উৎসব ২.০এ দেখা গেল ব্যতিক্রমী মাত্রায় অংশগ্রহণ ও আকর্ষণ। এই উৎসবে এসেছেন ২৫,০০০ জনের বেশি খাদ্যবিলাসী। এখানে ছিল ৪০এর বেশি জায়গা যেখানে খাদ্যোৎসবে আগত অতিথিরা ভিড় জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করতে পেরেছেন। হাজির ছিল ৩০টির বেশি ব্র্যান্ড তাদের সুখাদ্যের উপহার নিয়ে, অনলাইনে উৎসবে যোগ দেওয়া দর্শকের সংখ্যা ছিল ১০ কোটির বেশি, এবং ছিল ১০০০র রকমের বেশি মৌলিক সুখাদ্যের ডালি যা তৈরি করেছিলেন ইনফ্লুয়েন্সরা এবং অংশগ্রহকারী সংস্থাগুলি। উচ্চ মানের সুখাদ্যের আবিষ্কার এবং নানা ধরনের ব্র্যান্ডের খাদ্যের উপস্থিতি ছিল এই উৎসবের আকর্ষণ। উৎসবের বৈশিষ্ট্য ছিল সুগার ফ্রি, ডাবুর, হ্যাপ্পিলো, সাফোলার মতো আরও অনেক ব্র্যান্ডের তৈরি নতুন নতুন খাবার। উৎসবে খাদ্যরসিকেদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো, ছিল এমন সব ব্র্যান্ডের আকর্ষণ যা কেউই এড়িয়ে যেতে পারবেন ন, বরং সুখাদ্যের আস্বাদ গ্রহণে মেতে উঠবেন। ছিল কনটেন্টেভিত্তিক সক্রিয়তাও। এসবেই প্রমাণিত হয়েছে ফ্লিপকার্টের সুখাদ্য ও পানীয় কত দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে নিত্যনতুন সুখাদ্য আবিষ্কারে ফ্লিপকার্টই হয়ে উঠেছে একেবারে গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণের কেন্দ্র।
সুসজ্জিত খাবারের স্টল এবং উচ্চ মােনর সুখাদ্য থেকে, যাঁরা এসব খাবার তৈরি করেছেন তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তার সুযোগ, এসবই ছিল উৎসব প্রাঙ্গণের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য। যাতে খাবারের ব্র্যান্ডগুলি সম্পর্কে খাদ্যরসিকদের সম্পর্ক আগ্রহ বাড়ে, সেটার জন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছিল। ককটেল কোম্পানির মিক্সোলজি মাস্টারক্লাস, দ্য পারফেক্ট কফি ব্রিউয়িং সেসন, প্রাণশক্তিেত ভরপুর ফ্লিপকার্ট মাস্টারশেফ চ্যালেঞ্জ, এগুলির আয়োজনে দর্শকেরা পেয়েেছন একেবারে হাতে গরম খাবারের অভিজ্ঞতা। রীতিমতো মজা করে, কথাবার্তা বলে দর্শকেরা নতুন নতুন কী ধরনের খাদ্য বাজারে আসছে, এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ড কীভাবে সেগুলি বাজারে নিয়ে আসতে চাইছে সেবব বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে পেরেছেন।এই সব অভিজ্ঞতার কেন্দ্রে ছিলেন বিখ্যাত শেফ পূজা ধিংরা এবং রণবীর ব্রার। মাস্টারশেফের রান্নার লাইভ ক্লাস নিয়ে তাঁরা দর্শকদের একেবারে মাত করে দিয়েছেন। আধুনিক ভারতীয় ডেজার্ট কী করে তৈরি করতে হয় এবং সহজে তার টেকনিকগুলো কী কী, বেকারির রহস্য জানতে আগ্রহীদের এসব শিখিয়েছেন পূজা। শেফ রণবারী ব্রার কুকিং সেশনে কেড়ে নিয়েছেন দর্শকদের নজর। সমসাময়িক উপকরণ দিয়ে কী করে খাবারে আঞ্চলিক স্বাদ আনতে হয়, সেটাই শিখিয়েছেন তিনি। স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান রাহুল সুব্রমানিয়ান তাঁর চমৎকার রসিকতায় দর্শকদের মাতিয়ে দিয়েছেন। একেবারে মুগ্ধ করে দেওয়ার মতো পারফরমেন্সে ছিল মিউজিক ব্র্যান্ড রোজমেরি এবং দ্য হাব এর। এর ফলে গোটা উৎসব প্রাঙ্গন একেবারে চনমনে হয়ে উঠেছিল। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলে ভারতের সেরা ফুড ইনফ্লুয়েন্সররা, নানান সোশাল প্ল্যাটফ্রমে তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। শুনিয়েছেন তাঁদের অনন্য অভিজ্ঞতার কথা ও রন্ধনশিল্পে কীভাবে তাঁরা এগিয়ে চলেছেন, শুনিয়েছেন সেই কথাও।
পুরো ইভেন্টের উপস্থাপক ছিলেন মারিযা গোরেট্টি। তিনি একজন বিখ্যাত টিভি ব্যক্তিত্ব এবং রন্ধনশিল্পে আগ্রহী। তাঁর নেতৃত্বে আলোচনায় বসেছিল একটি প্যানেল। আলোচনার বিষয় ছিল নতুন যুগের কোন ব্র্যান্ডগুলি ভারতীয় খাবারের ক্রেতা ও স্বাস্থ্য সচেতন গ্রাহকদের স্বাদকে বদলে দিচ্ছে। এবং একাজে রয়েছেন সৃজনশীলেরা এবং ব্র্যান্ডের নেতৃত্ব। খাবার এবং ওয়েলনেস জগতের গুরুত্বপূর্ণ লোকজনদের বক্তব্যও উঠে এসেছে এই প্যানেলে। এখনকার ক্রেতাদের চাহিদা কীভাবে বদলাচ্ছে, পরিচ্ছন্ন খাবার পছন্দের প্রবণতা, এবং ডিটুসির সুবিধা — এসব বিষয়ে দেওয়া হয়েছে দরকারি পরামর্শ।
