দিল্লিতে ফ্লিপকার্ট সেলার সামিট ২০২৫ সিরিজের সমাপ্তি

ভারতের স্বদেশি ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ফ্লিপকার্ট তাদের ফ্ল্যাগশিপ সেলার সামিট ২০২৫ সুসম্পন্ন করল আজ নয়াদিল্লিতে আয়োজিত সাড়ম্বর ফাইনালের মধ্যে দিয়ে! এর মাধ্যমে সুরাত, জয়পুর এবং দিল্লি— এই তিন শহরে আয়োজিত সিরিজের পরিসমাপ্তি ঘটল। সমাবেশে সারা ভারত থেকে ৮,০০০-এরও বেশি বিক্রেতা, এমএসএমই এবং উদ্যোক্তা অংশ নেন। সেলার সামিট ২০২৫-এর লক্ষ্য ছিল ছোট ব্যবসাগুলিকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, জ্ঞান, উপভোক্তা অন্তর্দৃষ্টি এবং প্রযুক্তিনির্ভর সহায়তা প্রদান করা। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ফ্লিপকার্টের ৫০ কোটিরও বেশি গ্রাহকের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হচ্ছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাণিজ্যকে উৎসাহিত করাই ফ্লিপকার্টের অঙ্গীকার এবং সেই অঙ্গীকারকে দৃঢ়তর করতেই প্রতিটি শহরে আয়োজিত সামিটে ফ্লিপকার্টের প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কিত তথ্য, ব্যবসা বৃদ্ধির কৌশল, উৎসব-প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়। দিল্লির ফাইনাল ইভেন্টে এমএসএমই-র ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও দীর্ঘস্থায়ী বিকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, আসন্ন উৎসবের মরশুমের জন্য উপভোক্তাদের চাহিদা, কেনাকাটার ধারা ও বাজারের সুযোগ সম্পর্কেও গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করা হয়।

শ্রী প্রহ্লাদ ভেঙ্কটেশ জোশী, মাননীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন দফতর এবং নব ও নবায়নযোগ্য শক্তি মন্ত্রী, ভারত সরকার, এই অনুষ্ঠানের জন্য একটি বিশেষ ভিডিও বার্তা শেয়ার করেন। তিনি বলেন, “ফ্লিপকার্টের দিল্লি সেলার সামিট উপলক্ষে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আনন্দিত। এই মঞ্চ ভারতের উদ্যোক্তা-মনোভাব ও আত্মনির্ভরতার প্রতি অঙ্গীকারকে সামনে তুলে ধরে। সরকার এমএসএমই, কারিগর এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের যথাযথ সুযোগ ও সহায়তার মাধ্যমে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে, একই সঙ্গে ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি ফ্লিপকার্টকে এই ধরনের সামিট আয়োজন করে সারা দেশের হাজারো সেলারদের একত্রিত করার জন্য অভিনন্দন জানাই। এ ধরনের প্রচেষ্টা ব্যবসা করার সহজতাকে শক্তিশালী করে, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথ তৈরি করে এবং ভোক্তা সুরক্ষা ও শিল্পোন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে।”

দিল্লির ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রগতি ময়দানে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফ্লিপকার্ট গ্রুপের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার শ্রী রজনীশ কুমার এবং শ্রী কপিল থিরানি, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অফ মার্কেটপ্লেস, ফ্লিপকার্ট। ফ্লিপকার্ট গ্রুপের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার রজনীশ কুমার বলেন— “মাননীয় মন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ ভেঙ্কটেশ জোশীর উপস্থিতি আমাদের সম্মানিত করেছে। তাঁর এই উপস্থিতি উদ্যোক্তাদের প্রতি ভারত সরকারের দায়বদ্ধতাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করল। এমএসএমই হল আমাদের অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু এবং এই বিক্রেতা সম্মেলনে ডিজিটাল সরঞ্জামের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন, উপভোক্তাদের আস্থা তৈরি এবং নতুন সুযোগ তৈরি করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে এবং ভারতের ডিজিটাল সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতে এমএসএমই-দের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে পেরে ফ্লিপকার্ট গর্বিত।”

ফ্লিপকার্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মার্কেটপ্লেস বিভাগের প্রধান কপিল থিরানি বলেন— “আমরা বিশ্বাস করি, সঠিক সরঞ্জাম, অন্তর্দৃষ্টি ও সহায়তা দিয়ে বিক্রেতাদের ক্ষমতায়নই ভারতের ডিজিটাল বাণিজ্য বৃদ্ধির পরবর্তী ঢেউ সৃষ্টি করার মূল চাবিকাঠি। আমাদের অঙ্গীকার হল এমন একটি মার্কেটপ্লেস গড়ে তোলা- যেখানে প্রতিটি উদ্যোক্তা, তাঁদের আকার, অভিজ্ঞতা বা ভৌগোলিক অবস্থান নির্বিশেষে, সাফল্যের সুযোগ পাবেন। আসন্ন বিগ বিলিয়ন ডে’জ ২০২৫-এর প্রস্তুতি হিসেবে এই ধরনের বিক্রেতা সমাবেশ শুধুমাত্র একটি প্রাথমিক ধাপ নয়; এটি আমাদের বিক্রেতা বাস্তুতন্ত্রের ক্ষেত্রে কৌশলগত বিনিয়োগও। ডেটা-নির্ভর সমাধানসূত্র প্রদান, সুদক্ষ কার্যক্ষমতার প্রশিক্ষণ ও সম্পূর্ণ সহায়তার মাধ্যমে আমরা বিক্রেতাদের দীর্ঘস্থায়ী বিকাশে এবং উৎসবের মরশুমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যবসা বাড়াতে সহায়তা করছি।”N দিল্লি সংস্করণের মাধ্যমে ফ্লিপকার্ট সফলভাবে ২০২৫ সেলার সামিট সিরিজের সমাপ্তি ঘটাল। এর মাধ্যমে এমএসএমইগুলির ডিজিটাল গ্রহণযোগ্যতা, বাজার সম্প্রসারণ এবং দীর্ঘমেয়াদি ঔদ্যোগিক সাফল্যের ক্ষেত্রে ফ্লিপকার্টের ভূমিকা আরও দৃঢ় হল।