ভারতের অন্যতম প্রধান স্বদেশী ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ফ্লিপকার্ট দেশের ডিজিটাল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক বিশাল পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে। সুরাট, ভিওয়ান্ডি, জয়পুর এবং কর্ণালের মতো ছোট ও মাঝারি মাপের শহরগুলিতে (টিয়ার-২ এবং টিয়ার-৩) নতুন আঞ্চলিক বাণিজ্য কেন্দ্র তৈরি করে ফ্লিপকার্ট দ্রুত ই-কমার্সের সীমানা প্রসারিত করছে।
আসন্ন উৎসবের মরশুমে এই উচ্চ-বৃদ্ধির ক্লাস্টার থেকে নতুন পণ্যের যোগান প্রায় ১.৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে ভারতের আঞ্চলিক ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের ব্যবসাকে বৃহত্তর স্তরে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। টিয়ার-২ শহরগুলির মধ্যে, ভুবনেশ্বর, ভিওয়ান্ডি এবং দুর্গাপুর উৎসবের মরশুমে সর্বাধিক প্রবৃদ্ধি দেখেছে। মিরাট এবং লখনউ এখন পরবর্তী মূল বাণিজ্য কেন্দ্র হয়ে উঠছে। কনৌজ এবং শান্তিপুর ইতিমধ্যেই সফল কেন্দ্রের উদাহরণ তৈরি করছে। উৎসবের দিনে সর্বাধিক চাহিদা ছিল অটোমোবাইল সরঞ্জাম, টিভি, স্পোর্টস জুতা, মেকআপ, সুগন্ধির।
ফ্লিপকার্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মার্কেটপ্লেসের প্রধান সাকায়েত চৌধুরী বলেন, “ভারতের নতুন বাণিজ্য কেন্দ্রগুলি বিক্রেতা ড্যাশবোর্ড এবং এআই-চালিত এনএক্সটি ইনসাইটস প্ল্যাটফর্মের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এতে মূল্য নির্ধারণ এবং চাহিদার বিষয়ে তথ্য চলে যাচ্ছে বিক্রেতাদের কাছে। এতে তারা সহজেই স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। ফ্লিপকার্ট এই রূপান্তরকে সক্ষম করতে এবং ই-কমার্সকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই বৃদ্ধির প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
