রাগের মাথায় সহকর্মীকে গুলি করে খুন করলেন এক বিএসএফ জওয়ান। ১৩ রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা ওই জওয়ান। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় সামশেরগঞ্জের পাহাড়পুরে। পরপর গুলির আওয়াজে চমকে ওঠেন আশপাশের বাসিন্দারা। জানা যায়, দুই জওয়ান বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেসময়ে বছর পঁচিশের শিবমকুমার মিশ্র রেগে গিয়ে ছাপান্ন বছরের রতনকুমার সিং শেখাওয়াতকে গুলি করে খুন করেন। অভিযুক্ত জওয়ান শিবমকুমার মিশ্রকে রবিবার সকালে জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান পাহাড়ঘাটি এলাকায় দুই জওয়ান ডিউটি করছিলেন। হেড কনস্টেবল রতনকুমার সিংয়ের বাড়ি রাজস্থানে। অভিযোগ, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও বিষয় নিয়ে রতনের সঙ্গে বচসা বাধে শিবমকুমারের। তখনই রতনকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে শিবমের বিরুদ্ধে। রাতেই অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, শিবম বেশ কিছুদিন ধরে অত্যধিক চাপে ছিলেন। বাড়িতে স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। তারই মাঝে ওই জওয়ানকে নিয়ে নাকি হাসির ছলে ঠাট্টা করছিলেন রতন। তখনই কোনও কারণে রেগে যান শিবম। রাগের মাথায় গুলি চালাতে শুরু করেন। ১৩ রাউন্ড গুলি চালান শিবম। তারপর নিজেই এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এবিষয় নিয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ও বিএসএফ।
গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে ওই জওয়ানকে অনুপনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে জঙ্গিপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। জঙ্গিপুর হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত জওয়ান নিজেই ধরা দিয়েছেন। তাঁর ইনসাস রাইফেল আটক করেছে পুলিশ। ১৩ রাউন্ড গুলি চলে। ৭ রাউন্ড ম্যাগাজিনে ছিল এবং অতিরিক্ত ৪০ রাউন্ড মতো মজুত ছিল। সকালেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে জঙ্গিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। জঙ্গিপুরে পুলিশ সুপার অমিতকুমার সাউ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ওই জওয়ানের কিছু সমস্যা ছিল।’