চা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক নীতির প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা বাগানে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক গেট মিটিং। আগামী ৯ জুলাই সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে চা শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চ ‘জয়েন্ট ফোরাম’। এই কর্মসূচির অংশ হিসাবে সোমবার জলপাইগুড়ির করলাভ্যালী চা বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক গেট মিটিং।
গেট মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন প্রফুল্ল লাকরা, গোবিন ওরাও, ধ্রুবজ্যোতি গাঙ্গুলী, সুনিতা বাগ সহ একাধিক শ্রমিক প্রতিনিধি। বক্তারা অভিযোগ করে, দীর্ঘদিন ধরে চা শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি থেকে বঞ্চিত। চা বাগানে বসবাসকারী পরিবারগুলো এখনও স্থায়ী জমির পাট্টা পাচ্ছেন না। পিএফ, গ্রাচ্যুইটি সংক্রান্ত বিষয়ে হয়রানি চলছে। এই অবস্থায় অবিলম্বে শ্রমিক বিরোধী কেন্দ্রীয় শ্রম কোড বাতিলের দাবি জানানো হয়।
এদিনের সভা থেকে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চা বাগানের প্রায় ৩০ শতাংশ জমি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেন বক্তারা। তাঁরা জানান, এই সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের জীবিকা ও অস্তিত্বের উপর বড়সড় আঘাত হানবে।
গেট মিটিংয়ের শেষে করলাভ্যালী চা বাগানের স্থানীয় সমস্যা নিয়ে বাগান ম্যানেজারের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে দ্রুত জ্বালানি সরবরাহ, আবাস সংস্কার, ছাতা, ত্রিপাল ও জুতা প্রদান সহ শ্রমিকদের নিত্যদিনের সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের দাবি জানানো হয়।
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা কৃষ্ণ সেন, শুভাশিস সরকার, সুকুমার কুজুর, মৃণাল রায় সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃত্ব।
