সকাল থেকেই মেঘের গর্জন আর ঝড়ো হাওয়ায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। ফ্লাড কন্ট্রোল রুম জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিস্তা নদীতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ ব্যারেজ থেকে ১৪৬২ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে।
অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। পাশাপাশি এনএইচ-৩১ এর জলঢাকা নদীর উপরে অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি শহর ও সংলগ্ন একাধিক এলাকায় জল জমে গিয়েছে। রাস্তাঘাটে সকাল থেকে লোকজনের আনাগোনা অনেকটাই কম। দোকানপাট ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলকভাবে কম।
ভারী বৃষ্টির কারণে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ড্রেনের অপ্রতুলতার ফলে বহু জায়গায় জল দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করে সকলকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
