ঐতিহাসিক মুহূর্ত! ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

ইতিহাস তৈরি হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিটেন সফরে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হল ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুই রাষ্ট্রনায়ক স্বাক্ষর করলেন বহু প্রতীক্ষিত ওই চুক্তিতে। প্রসঙ্গত, দু’দিনের সফরে ব্রিটেনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৌশলগত দিক দিয়ে এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেওসাক্ষাৎ করবেন তিনি। কিন্তু নিঃসন্দেহে সকলের নজরে সবচেয়ে বেশি করে থেকেছে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি। এই গুরুত্বপূর্ণ সফরের পর তাঁর পরবর্তী গন্তব্য় মালদ্বীপ। 

বহু বছর ধরেই মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দর কষাকষি চলছিল। অ্যালকোহল ও মোটরগাড়ির উপর ভারতের আরোপিত আমদানি শুল্ক হ্রাস করা এবং কাজের উদ্দেশ্যে ভারত থেকে ব্রিটেন অভিমুখী কর্মপ্রার্থীদের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ। অ্যালকোহল ও মোটরগাড়ির উপর আমদানি শুল্ক হ্রাসে নরম মনোভাব দেখালেও ‘অভিবাসন’ (ইমিগ্রেশন) ইস্যুতে ভারতের কঠোর হওয়ার সম্ভাবনা প্রথম থেকেই বেশি ছিল। ২০২১ সালে বরিস জনসনের আমলে নতুন করে দু’দেশের মধ্যে এই চুক্তি আলোচনা শুরু হয়। তারপর লিজ ট্রাসের জমানাতেও জট খোলার কোনও সম্ভাবনা দেখা যায়নি। তাঁর মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম‌্যান মন্তব্য করেছিলেন যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হলে ব্রিটেনে ভারতীয় অভিবাসনের সংখ্যা বেড়ে যাবে। তাতে নয়াদিল্লি তো বটেই, ব্রিটেনের ভারতীয়দের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। যার জেরে ব্রাভারম‌্যান পদত্যাগ করেন। তারপর দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি সামাল না দিতে পারার ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে লিজ ট্রাসকেও সরে যেতে হয়।