একদিকে ভক্তদের জন্য পুণ্যস্নান, প্রসাদ বিতরণ ও ধর্মীয় আচারবিধি, অন্যদিকে কড়া নিরাপত্তা ও চিকিৎসা পরিকাঠামো—সব মিলিয়ে শনিবারের উল্টোরথ উৎসব ঘিরে দিঘা হয়ে উঠছে এক ধর্মীয় – সাংস্কৃতিক মহামঞ্চ। মূল রথের মতোই এবারে উল্টোরথেও ভক্তদের ঢল নামবে বলেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের পূর্বাভাস। সেই অনুযায়ী চলছে সর্বোচ্চ স্তরের প্রস্তুতি।
শনিবার দুপুরে গড়াতে পারে রথের চাকা। তার আগে সকাল থেকেই শুরু হবে রথযাত্রা সংক্রান্ত আচারবিধি, ভোগ নিবেদন ও ভক্তদের সমাগম। বিকেল চারটেয় সম্পন্ন হবে রথ টানার পর্ব। বাঁশের ব্যারিকেড ঘেরা এলাকায় দাঁড়িয়ে রথের রশিতে টান দিতে পারবেন ভক্তরা।
শুক্রবারই মাসির বাড়ির সামনে সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে মহাপ্রসাদ। শনিবার, অর্থাৎ উল্টোরথের দিন, মাসির বাড়ি কমিটির তরফ থেকে প্রায় ১০ হাজার ভক্তকে অন্নপ্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার জগন্নাথ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, যাতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্যের মন্ত্রীসভার সদস্য সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও পুলক রায়। এছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি ও পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য।
