মাত্র তিন বছর পাঁচ মাস বয়সেই অভ্রদীপ সেন জায়গা করে নিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ। বয়সে একরত্তি হলেও প্রতিভায় যেন ভরপুর এই বিস্ময় বালক। অভ্রদীপের শিক্ষক, আত্মীয়-পরিজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরাও তার প্রতিভায় মুগ্ধ। কী নেই তার ঝুলিতে! বিভিন্ন দেশের নাম, রাজধানী, জাতীয় পতাকা চেনা, ভারতের ২৯টি রাজ্যের রাজধানী মুখস্থ, ১০০-রও বেশি জেনারেল নলেজ প্রশ্নের উত্তর সে দিতে পারে অনায়াসে। শুধু তাই নয়, গায়ত্রী মন্ত্র থেকে নানা ছড়া– সবই তার ঠোঁটস্থ।
অভ্রদীপের বাবা দেবাশীষ সেন পেশায় অধ্যাপক এবং মা নমিতা সেন গৃহবধূ। বাড়িতে অধিকাংশ সময় মায়ের সঙ্গেই কাটে তার। খেলতে খেলতেই শেখানোর পদ্ধতিতেই জন্ম নিয়েছে এই প্রতিভা। বয়স যখন দুই-আড়াই, তখনই বিভিন্ন দেবদেবীর ছবি চেনা, বিভিন্ন দেশের পতাকা সনাক্ত করা, দিন-তারিখ-মাসের নাম মনের ভিতর গেঁথে নেওয়ার ক্ষমতা প্রকাশ পেতে শুরু করে।
খেলার ছলেই মা নমিতা তার মেধাকে পরিচর্যা করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রাণী চিহ্নিতকরণ থেকে শুরু করে জাতীয় প্রতীক, রাজ্য-রাজধানী— একাধিক বিষয়ে সাবলীল দক্ষতা অর্জন করে অভ্রদীপ। সম্প্রতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তার প্রতিভা স্বীকৃতি দিতেই খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে পরিবারে। যে বয়সে সাধারণ শিশুদের অক্ষর জ্ঞানও সম্পূর্ণ হয় না, সেই বয়সে অভ্রদীপের এমন বহুমুখী প্রতিভা স্বাভাবিকভাবেই এক বিস্ময়। পরিবারের পাশাপাশি গ্রামের মানুষেরও গর্ব আজ অভ্রদীপ সেন। খেলার ছলেই তৈরি হওয়া এই প্রতিভা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও বড় মঞ্চে পৌঁছাবে— এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
