দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভারতে বাণিজ্য করার লাইসেন্স পেল মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা স্টারলিঙ্ক। ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে ১০০টিরও বেশি দেশে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা চালু রয়েছে। ভারতের বাজারে স্টারলিঙ্ক এখনও সক্রিয় নয়। তবে শীঘ্রই এই নতুন সংস্থার ইন্টারনেট ভারতের বাজারে সক্রিয় হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
স্টারলিঙ্ক মূলত দু’ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে। এক,রোমিং পরিকল্পনা এবং দুই,আবাসিক পরিকল্পনা (রেসিডেন্সিয়াল প্ল্যান)। বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য আবাসিক পরিকল্পনাই উপযুক্ত।
এশিয়ার মধ্যে জাপান, মঙ্গোলিয়া, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডন, ইয়েমেন, আজারবাইজানের মতো দেশে স্টারলিঙ্ক সক্রিয়। ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে ভুটান এবং বাংলাদেশে এই ইন্টারনেট পাওয়া যায়। দুই দেশেই স্টারলিঙ্কের আবাসিক পরিকল্পনার খরচ মাসে ৩০০০ থেকে ৪২০০ টাকা। এছাড়া মালয়েশিয়ায় ২৬০০-৪৬০০ টাকা, জাপানে ৪০০০ টাকা এবং ফিলিপিন্সে ৬০০০ টাকায় এই সংস্থার ইন্টারনেট পাওয়া যায়।
বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলা ছাড়া উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় প্রতি দেশেই স্টারলিঙ্ক সক্রিয়। মাসিক হিসাবে নিউ ইয়র্কে এর দাম ২৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা, কানাডায় এর দাম ৬৮০০ থেকে ৯০০০ টাকা। ইউরোপের দেশগুলিতেও স্টারলিঙ্ক রয়েছে।
ব্রিটেনে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেটের খরচ ৮৭০০ টাকা, ইটালিতে ৩৪০০ থেকে ৫০০০ টাকা। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশেও এই সংস্থা ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে থাকে। স্টারলিঙ্কের পরিষেবা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সস্তা জামবিয়ায় এবং সবচেয়ে দামি আমেরিকায়।
২০২২ সালে ভারতে স্টারলিঙ্কের প্রাক্তন ডিরেক্টর সঞ্জয় ভার্গব জানিয়েছিলেন, এই পরিষেবা এ দেশে চালু হলে প্রথম এক বছরে কানেকশন প্রতি ১.৫৮ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে এর খরচ কমে আসতে পারে ১.১৫ লক্ষ টাকায়।