২০২৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান অনুসারে চিনকে টপকে পয়লা নম্বর স্থান দখল করেছিল ভারত। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেসময় এ দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪২ কোটি থেকে সামান্য বেশি। রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা বিষয়ক দপ্তর ইউএনএফপি-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট মোতাবেক, চলতি বছরের শেষে ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৪৬ কোটিতে পৌঁছোবে।
‘বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ’-এর তকমা পেলেও সামগ্রিকভাবে ভারতে জনসংখ্যা হ্রাসের বার্তাও রয়েছে ২০২৫ সালের ‘বিশ্ব জনসংখ্যার অবস্থা’ (এসএডব্লিউপি) নামক ওই প্রতিবেদনে। প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ‘দ্য রিয়্যাল ফার্টিলিটি ক্রাইসিস’ নামক অধ্যায়টিতে। রিপোর্টে উল্লেখ্য, ভারতীয় মহিলারা এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে জনসংখ্যার সামগ্রিক আকার বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় কম সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন।
২০২২ সালের রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট মোতাবেক, এই প্রবণতা শুধু ভারতের ক্ষেত্রে নয়, সামগ্রিকভাবে গোটা বিশ্বের। বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছোতে সময় লেগেছে ১২ বছর। কিন্তু গোটা বিশ্বেই জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় ৮০০ থেকে ৯০০ কোটিতে পৌঁছোতে সময় লাগবে সাড়ে ১৪ বছর। ২০৮০ সাল নাগাদ সারা বিশ্বের জনসংখ্যা পৌঁছোবে এক হাজার কোটিতে।