সম্প্রতি ভূস্বর্গ কাশ্মীরের বুকে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশে। গত ২২ এপ্রিল পাহেলগাঁও-তে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার এই ঘটনায় পরেই তাই অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ৯টি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি মোদী সরকারের।
এমতাবস্থায়, ভারত এবার চিনকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সামরিক সরঞ্জামে চিনা উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে সেগুলিকে অপসারণের জন্য একটি পর্যালোচনা শুরু করতে চলেছে। উদ্যোগটি ২০২৫ সালের প্রতিরক্ষা সংস্কারের অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মূলত, ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে চীনা যন্ত্রাংশ ব্যবহারের ওপর কঠোর নিয়ম রয়েছে। তা সত্বেও কোম্পানিগুলি তৃতীয় দেশগুলির মাধ্যমে এই যন্ত্রাংশগুলি আনছে। যাতে তাদের চিনা উৎস লুকনো যায়। এমতাবস্থায়, ড্রোন এবং অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমে চিনা যন্ত্রাংশের উপস্থিতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই, এগুলি “এলিমিনেট” করা হতে পারে।
ভারত যদি তার অস্ত্র থেকে চিনা যন্ত্রাংশ সরিয়ে ফেলে, তাহলে কোম্পানিগুলি চিনা যন্ত্রাংশ কেনা বন্ধ করে দেবে। এতে এই যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী চিনা কোম্পানিগুলি সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়বে। এর ফলে চিনও নিশ্চিতভাবে প্রভাবিত হবে।
