দেশের প্রথম এবং বৃহত্তম সামরিক প্রতীক যুক্ত প্রবেশ তোরণ তৈরি করল হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক ডিপটেক কোম্পানি সিম্পলিফোর্জ ও আইআইটি হায়দ্রাবাদ। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাহস, শক্তি এবং অদম্য মনোভাবের প্রতীক হিসেবে বাঘের মুখ যুক্ত এই প্রতীকী কাঠামোটি এখন ঝাঁসি সেনানিবাসে সুউচ্চ অবস্থানে রয়েছে। ৫.৭m x ৩.২m x ৫.৪m পরিমাপের প্রবেশতোরণটি সিম্পলিফোর্জের অত্যাধুনিক রোবোটিক আর্ম-ভিত্তিক থ্রিডি কংক্রিট প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো হয়েছে। কর্নেল অখিল সিংচরকের দূরদর্শী নির্দেশনায় প্রকল্পটির ধারণা তৈরি করা হয়েছিল। আইআইটি হায়দ্রাবাদ এবং সিম্পলিফোর্জ-এ এর কাঠামো এবং নকশা তৈরি করা হয়েছে অধ্যাপক কে. ভি.এল. সুব্রামণিয়াম (HAG) এর সহযোগিতায়।
কর্নেল অখিল সিংচরক (ভারতীয় সেনাবাহিনী) তার মতামত ভাগ করে বলেন, “এই প্রবেশদ্বারটি কেবল একটি কাঠামো নয়, এটি আমাদের বাহিনীর নীতি ‘নাম, নমক, নিশান’-এর প্রতিনিধিত্ব করে।” ডঃ কে.ভি.এল. সুব্রহ্মণ্যম (এইচএজি, আইআইটিহায়দ্রাবাদ) বলেন, “টাইগার ফেসেড উন্নত থ্রিডি কংক্রিট প্রিন্টিং প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি হয়েছে যা আমাদের প্রচলিত সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে স্ট্রাকচারাল ডিজাইন সম্পর্কে ভাবতে সাহায্য করে। স্থানীয়ভাবে উপলব্ধ উপকরণের ব্যবহার করে আমরা একটি জটিল, জৈব জ্যামিতিক আকার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা স্থাপত্যের অভিব্যক্তির সঙ্গে প্রকৌশলের নির্ভুলতাকে এক করে।”
মি. ফয়জান চৌধুরী (প্রতিষ্ঠাতা ও সিওও, সিম্পলিফোর্জ) বলেন, “প্রথম দিন থেকেই, আমাদের দল এই প্রকল্পের গুরুত্ব অনুভব করেছে। সাইটে আমাদের শক্তি ছিল বৈদ্যুতিক। রেকর্ড ৪৫ দিনের মধ্যে স্তরে স্তরে বাঘটি ফুটে উঠতে শুরু করে। সিম্পলিফোর্জে, আমরা থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে নির্মাণকে পুনর্কল্পনা করার একটি মিশনে রয়েছি।“
