ভারতের অন্যতম প্রধান অন-ডিমান্ড প্ল্যাটফর্ম সুইগি, কার্নি-র সঙ্গে অংশীদারিত্বে তাদের বার্ষিক রিপোর্ট “হাও ইন্ডিয়া ইটস ২০২৫” প্রকাশ করেছে। এই ফ্ল্যাগশিপ রিপোর্টে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের খাদ্য পরিষেবা বাজারের আকার ১২৫ মার্কিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এই বৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি হবে সংগঠিত খাত, যা অসংগঠিত খাতের চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুত হারে বাড়বে এবং সামগ্রিক বৃদ্ধির ৬০%-এরও বেশি অংশ চালনা করবে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, গ্রাহক প্রতি অর্ডারের ক্ষেত্রে অনন্য খাবারের তালিকায় ২০% এবং রেস্তোরাঁ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ৩০% বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
একদিকে, যেমন তিন গুণ হারে বাড়ছে গভীর রাতের খাবার অর্ডারের পরিমাণ, সেক্ষেত্রে পিজ্জা, কেক এবং কোমল পানীয়ের চাহিদা বেশি। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যকর এবং প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবারের অর্ডার সামগ্রিক অর্ডারের তুলনায় ২.৩ গুণ বাড়ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত তার সমৃদ্ধ রান্নার ঐতিহ্যকে নতুন করে আবিষ্কার করছে। গোয়ান, বিহারি, এবং পাহাড়ি এলাকার অতি-আঞ্চলিক খাবারগুলির চাহিদা মূলধারার খাবারের তুলনায় ২-৮ গুণ বেড়েছে। বাটারমিল্ক বা ছাঁচ এবং শরবতের মতো স্থানীয় পানীয়র চাহিদাও সামগ্রিক পানীয়ের তুলনায় ৪-৬ গুণ দ্রুত বাড়ছে। একই সঙ্গে, কোরিয়ান খাবারের চাহিদা বেড়েছে ১৭ গুণ, ভিয়েতনামী ৬ গুণ এবং মেক্সিকান ৩.৭ গুণ। এগুলি দ্রুত মূলধারার খাবারে প্রবেশ করছে।
সুইগি-র সিইও রোহিত কাপুর বলেন, দ্রুত বাণিজ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের চাহিদাই এই শিল্পকে চালনা করছে। কার্নি সংস্থার অন্যতম রজত তুলি যোগ করেছেন, প্রবৃদ্ধি এখন আর মেট্রো শহরগুলিতে সীমাবদ্ধ নেই। ডাইনিং-আউটের সংখ্যা ভারতের প্রধান আটটি শহরের তুলনায় অন্যান্য শহরে প্রায় ২ গুণ বেশি। যারা এই খাবারের বৈচিত্র ও ট্রেন্ডকে তাড়াতাড়ি আপন করে নিতে পারবে, ভবিষ্যতের খাদ্য পরিষেবা বিভাগে তারাই নেতৃত্ব দেবে।
