এসএসসি মামলা থেকে সরানো হল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর জায়গায় এলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। জানা গিয়েছে, নতুন করে দায়ের হওয়া এসএসসি মামলা, শিক্ষকদের বদলি মামলা, শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত এবং তার বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানি করতে পারবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরিবর্তে এখন প্রাথমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। ৬ জুন থেকেই এই ব্যবস্থা কার্যকর হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে। মূলত, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের হাতেই যাবতীয় এসব ক্ষমতা। তিনিই ঠিক করেন কোন বিচারপতি কোন মামলার বিচার করবেন। মাস্টার অফ রোস্টার বলা হয় প্রধান বিচারপতিকে। সোমবার থেকে এসএসসি মামলার বিচার করবেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলি বিচার করেন ৩ জন বিচারপতি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য, বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বলা বাহুল্য, শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার বিচারে থাকলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার বিচারে নতুন করে এসেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি কৌশিক চন্দ। জানা গিয়েছে, বিচারপতি কৌশিক চন্দ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার বিচার করবেন এখন থেকে। এসএসসি মামলায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী’দের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের টেবিলে বসান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর মামলা চলাকালীন বিচারপতি জানান, মাথায় বন্দুক ঠেকালেও আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারের কাজ চালিয়ে যাব। এদিকে হাইকোর্টের কানাঘুষোতে শোনা যাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে এসএসসি নিয়োগে যেভাবে গণদুর্নীতি হয়েছে। ঠিক সেভাবেই প্রথমিক শিক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগ কম নয়। প্রশ্ন ভুল মামলা, টেট শংসাপত্রে অনিয়ম অভিযোগ রয়েছে সেখানে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে এই প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা গুলির বিচার হওয়ায় তথ্য জেনে আমাদের মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা আশার আলো দেখতে পাবে।