কালিয়াচকে ফের গু*লি-বৃষ্টি, আ*তঙ্কে মোজমপুর—পুলিশি নজরদারিতে প্রশ্ন

কালিয়াচকে ফের দুষ্কৃতীদের দাপটে কেঁপে উঠল জনপদ। মোজমপুরে বেপরোয়া গুলিবর্ষণে মুহূর্তের মধ্যেই কার্যত লোকশূন্য হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। জেলা জুড়ে খুন, গুলি ও হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত মালদা। এবারের ঘটনাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ গিয়ে ঠেকেছে পুলিশের ভূমিকা ও আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অভাবেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোজমপুরের এক রেশন ডিলারের বাড়িকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলির শব্দে গোটা এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষিপ্ত গুলিতে আহত হন এক যুবক, তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যার পরপরই গুলির শব্দ শুনে ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন বাসিন্দারা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রামকৃষ্ণপাড়া লাগোয়া মোজমপুর ভুতুড়ে নীরবতায় ঢেকে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আতঙ্ক ও ক্ষোভ কমেনি এলাকাবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “ঘটনা ঘটার পরই শুধু পুলিশ দেখা যায়। আগাম প্রতিরোধ নেই কেন?” লাগাতার অপরাধ প্রবণতার জেরে পুলিশি টহল, নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ সবই প্রশ্নের মুখে পড়েছে বলে দাবি তাঁদের।

এলাকার মানুষ পুলিশি ভূমিকা নিয়ে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, “কালিয়াচকে আবার দুষ্কৃতীদের রাজত্ব ফিরছে। এবার পুলিশকে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতেই হবে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের পরিচয়, হামলার উদ্দেশ্য ও নেপথ্যের অপরাধচক্র খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে সাথে টহল বাড়ানো হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের দাবি শুধু তদন্ত নয়, আগাম সতর্কতা ও কঠোর পদক্ষেপই এখন সময়ের প্রয়োজন।