শীতে তিস্তা-চেলের তাজা মাছ ও ভাগা পিঠার টানে জমজমাট কাঠামবাড়ী বাজার

বিকেল নামলেই তিস্তা ও চেল নদীর তাজা মাছের পসরা সাজিয়ে বাজারে বসছেন ব্যবসায়ীরা। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে গরম গরম ভাগা পিঠার সুগন্ধ, যা বাজার এলাকাকে এনে দিয়েছে এক অনন্য উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে এই ব্যস্ত মাছের বাজার। বোরোলি, মাগুর, চিংড়ি, শোল, গীতু-সহ নানা প্রজাতির নদীর মাছ দেদার বিক্রি হচ্ছে। এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, “বোরোলি ৬০০ টাকা, মাগুর ৮০০ টাকা ও চিংড়ি ৪০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করছি। তিস্তা ও চেলের মাছের চাহিদা সবসময়ই বেশি।”

স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদেরও এই বাজারে ভিড় চোখে পড়ার মতো। শিলিগুড়ি ও লাটাগুড়ির দিকে সফররত বহু পর্যটক এখানে গাড়ি থামিয়ে তাজা মাছ কেনাকাটা করছেন। ফলে বিকেল ঘনালেই জমজমাট হয়ে উঠছে পুরো এলাকা। মাছের বাজারের পাশেই সারি সারি ভাগা পিঠার দোকান। ঠান্ডা পড়তেই পিঠার চাহিদা বেড়েছে বহুগুণ। গরম পিঠা খেতে ক্রেতাদের লাইন, কেউ আবার পরিবারের জন্য প্যাকেট ভরে নিয়ে যাচ্ছেন। ভাগা পিঠা বিক্রেত্রী সাইনা বেগম বলেন, “আগে দিনে ৫০০ টাকার মতো বিক্রি হত, এখন শীতে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।”মাত্র ১০ টাকায় গরম ভাগা পিঠা পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মুখেও হাসি ফুটছে।

কেউ দোকানের সামনে বসেই পিঠার স্বাদ নিচ্ছেন, কেউ আবার বাড়ির জন্য যত্ন করে নিয়ে যাচ্ছেন। তিস্তা-চেলের তাজা মাছ, শীতের গরম ভাগা পিঠা আর পর্যটকদের ভিড়ে কাঠামবাড়ী বাজার এখন শীতের অন্যতম আকর্ষণ। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, ঠান্ডা মৌসুমেই এই বাজারের পরিবেশ সবচেয়ে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। সব মিলিয়ে, শীতের সন্ধ্যা মানেই এখন কাঠামবাড়ী—তাজা মাছের ঘ্রাণ আর গরম পিঠার উষ্ণতায় মুখরিত এক জীবন্ত বাজার।