সামনেই দীপাবলি। এই আলোর উৎসবের এক মন মাতানো আকর্ষণ হল বাজি পোড়ানো। আট থেকে আশি সকলেই মেতে উঠেন এই আনন্দে। কিন্তু বিন্দুমাত্র অসতর্কতায় ঘটতে পারে অঘটন। তাই বাজি পোড়ানোর সময় কয়েকটি বিষয় মেনে চললেই অঘটন এড়ানো সম্ভব।
আগুন থেকে সতর্ক থাকুন
বাজির কাছাকাছি প্রদীপ বা মোমবাতি রাখা চলবে না। এগুলি বারুদের সংস্পর্শে এলে দ্রুত আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকে। বাজি জ্বলতে না চাইলে তাতে ফের আগুন দিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করবেন না। এতে অঘটন ঘটতে পারে। বাজি পোড়ানোর সময় আপনার মুখ এবং শরীর বাজি থেকে দূরে রাখুন।
পোড়ানো বাজি বা তার অবশিষ্টাংশ যেখানে সেখানে ছুঁড়ে না ফেলে, সেগুলিকে তুলে জলে ডুবিয়ে দিন। এতে তার ভিতরে থাকা দাহ্য পদার্থ পুরোপুরি নিভে যাবে।
বাজি পোড়ানোর সময় এক বালতি জল ও এক বালতি বালি সঙ্গে রাখুন। ছোটখাটো আগুন লাগলে বা পুড়ে গেলে প্রাথমিক মোকাবিলায় কার্যকরী হবে।
সাবধানতা বজায় রাখুন
বাজি পোড়ানোর সময়েই বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। তাই সতর্ক থাকুন। শিশুরোগ চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কর পালের কথায়, “বাড়ির ছোটদের বাজি পোড়ানোর সময় তাদের একা ছাড়া যাবে না। সঙ্গে বড়দের থাকতেই হবে। শব্দবাজি, তুবড়ি বা রকেটের মতো বাজি ছোটদের একেবারেই দিবেন না। আতশবাজির সম্ভার কখনওই পোড়ানোর জায়গায় মজুত রাখা চলবে না। সেগুলো শিশুদের নাগালের বাইরে একটি নিরাপদ জায়গায় রাখুন।”
পুড়ে গেলে বা ক্ষত হলে প্রাথমিক উপায়
প্রথমে বুঝতে হবে, পোড়ার ক্ষতটি মাইল্ড, মডারেট, না সিভিয়র বার্ন। সেইমতো শুরু হবে চিকিৎসা। অনেক সময় শুধু ত্বকের উপরের অংশ পুড়ে যায়। সেক্ষেত্রে জল বা বরফ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করা যাবে। তবে চামড়ার নীচের মাংসল অংশ পুড়ে গেলে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
চোখে আলোর ফুলকি ঢুকে গেলে, একেবারেই চোখ ঘষবেন না। সেক্ষেত্রে ঘন ঘন ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে হবে।
হাত বা আঙুল পুড়ে গেলে সেই অংশ ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে, শুকিয়ে নিয়ে সেখানে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখতে পারেন। কোনও প্রকার কসমেটিক ক্রিম ব্যবহার করবেন না। পুড়ে যাওয়া অংশে জেল লাগানো গজও বেঁধে রাখতে পারেন। এতে বাইরের ধুলো-ময়লা থেকে ক্ষতস্থান রক্ষা পাবে। এরপর দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
